রাজকােট: নির্বাসন অধ্যায় অতীত। রঞ্জিতে রাজ্য দল কেরলের স্কোয়াডে ঢুকে পড়েছিলেন আগেই। এবার কি প্রথম একাদশেও ঢুকে পড়বেন? আজ মেঘালয়ের বিরুদ্ধে নিজেদের রঞ্জি অভিযান শুরু করতে চলেছে কেরল। সচিন বেবির নেতৃত্বাধীন কেরল একাদশে কি দেখতে পাওয়া যাবে শ্রীসন্থকে? সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রায় বছর খানেক আগে বিজয় হাজারে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে শেষ খেলেছিলেন। মনে করা হচ্ছে যে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে নিজেকে আরও একটু ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবেন ৩৯ বছরের এই ডানহাতি স্পিডস্টার।


কোচবিহার ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ১৬ বছরের তরুণ টম অ্যাপেলকেও দেখা যেত পারে প্রথম একাদশে। শ্রীসন্থ যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেন। তখন টমের মাত্র ৩ বছর বয়স। যা সম্ভাবনা তাতে মনে করা হচ্ছে যে শ্রীসন্থের সঙ্গে বোলিংয়ে ওপেনিং জুটি হিসেবে দেখা যেত পারে তাঁকে। 


উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের আইপিএল-এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার সময় শ্রীসন্ত ও তাঁর দুই সতীর্থ অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চবন স্পট-ফিক্সিং করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। এছাড়া মুম্বইয়ে গ্রেফতার হন বিন্দু দারা সিংহ ও চেন্নাই সুপার কিংসর অন্যতম শীর্ষকর্তা গুরুনাথ ময়াপ্পান। ২০১৫ সালে অবশ্য শ্রীসন্তকে রেহাই দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। যদিও তার আগেই এই পেসারকে আজীবন নির্বাসিত করার কথা ঘোষণা করেছিল বিসিসিআই। ২০১৮ সালে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করার কথা ঘোষণা করে কেরল হাইকোর্ট। গত বছর আবার সেই রায় বাতিল করে বিসিসিআই-এর পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে শাস্তি কমাতে বলে আদালত। এরপরেই আজীবন নির্বাসনের বদলে সাত বছর নির্বাসনের কথা ঘোষণা করে বিসিসিআই। ২০১৩ সালের মে মাসের পরে আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেননি শ্রীসন্ত। ফলে এতদিন পরে তাঁর পক্ষে আর রঞ্জি ট্রফি খেলা সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয় ছিল।