সুপার ওভারে হায়দরাবাদের হয়ে ব্যাট করতে নামেন ওয়ার্নার ও বেয়ারস্টো। কলকাতার হয়ে বোলিং করতে যান ফার্গুসন। প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর আবদু সামাদ ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলে ২ রান করার পর তৃতীয় বলে বোল্ড হয়ে যান। ফলে জয়ের জন্য কলকাতার টার্গেট হয় মাত্র ৩ রান। ব্যাটিং করতে নামেন ইয়ন মর্গ্যান ও দীনেশ কার্তিক। দলকে জয় এনে দিতে তাঁদের কোনও সমস্যাই হয়নি।
এর আগে আজ টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান করে কলকাতা নাইট রাইডার্স। মাঝে পরপর তিনটি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল কেকেআর। তবে এরপর দলকে ভদ্রস্থ স্কোর করতে সাহায্য করে প্রাক্তন ও বর্তমান অধিনায়কের জুটি। কার্তিক ১৪ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। মর্গ্যান ৩৪ রান করেন। তিনি শেষ বলে আউট হন।
কলকাতার ইনিংসের শুরুটা ভাল করেন দুই ওপেনার শুবমান গিল (৩৬) ও রাহুল ত্রিপাঠি (২৩)। তিন নম্বরে নামা নীতীশ রানা করেন ২৯ রান। আন্দ্রে রাসেল অবশ্য আজও বড় রান করতে ব্যর্থ। তিনি মাত্র ৯ রান করেন। এরপর মর্গ্যান ও কার্তিকের জুটিতে ৫৮ রান যোগ হয়।
হায়দরাবাদের হয়ে জোড়া উইকেট নেন টি নটরাজন। একটি করে উইকেট নেন বাসিল থাম্পি, বিজয় শঙ্কর ও রশিদ খান।
হায়দরাবাদের হয়ে রান তাড়া করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা দুর্দান্ত করেন দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো (৩৬) ও কেন উইলিয়ামসন (২৯)। প্রিয়ম গর্গ (৪) অবশ্য রান পাননি। মণীশ পাণ্ডে (৬), শঙ্করও (৭) রান পাননি। আবদুল সামাদ করেন ২৩ রান। ওয়ার্নার ৪৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের দরকার ছিল ১৮ রান। বল করতে আসেন আন্দ্রে রাসেল। তিনি প্রথম বলই ‘নো’ করেন। পরপর তিনটি বাউন্ডারি মারেন ওয়ার্নার। এরপর তিনি পঞ্চম বলে ২ রান নেন। শেষ বলে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের দরকার ছিল ২ রান। শেষ বলে এক রান হয়। ফলে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ায়।
কলকাতার হয়ে ১৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ফার্গুসন। একটি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, শিবম মাভি ও বরুণ চক্রবর্তী।