হারারে: বিশ্বকাপের মূলপর্বে সুযোগ পেয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। নেদারল্যান্ডসও সুযোগ পেয়ে গিয়েছে। ভারতের মাটিতে চলতি বছরের শেষে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে খেলতে নামবে ২ দলই। তার আগে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ফাইনাল ম্যাচে ডাচদের বিরুদ্ধে ১২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল শ্রীলঙ্কা। এদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৩৩ রানে অল আউট হয়ে যায় লঙ্কা বাহিনী। মাত্র ৪৭.৫ ওভারেই গুটিয়ে যায় লঙ্কা ইনিংস। জবাবে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। 


টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ড। প্রথম থেকেই শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে প্রথম থেকেই স্থির হতে দেয়নি। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেন সাহান আরচচিগে, কুশল মেন্ডিস ৪৩ রানে ফিরে যান। ডাচদের হয়ে লোগান ভ্যান বিক, রায়ান ক্লেয়ন, বিক্রমজিৎ সিং এবং সাকিব জুলফিকর ২ টি করে উইকেট নেন এছাড়া আরিয়ান দত্ত ১টি উইকেট নেন। 


জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ২৩.৩ ওভারে ১০৫ রানেই অল আউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। ৪৯ রানের মধ্যে একসময় ৬ উইকেট হারিয়ে বসে নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকে মাত্র ১০৫ রানেই শেষ হয়ে যায়।


জয় ভারতের


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল (Indian Womens Cricket Team)। অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১১৪ রানই বোর্ডে তুলতে পারে বাংলাদেশ। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৬.২ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়ােজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন হরমনপ্রীত কৌর।


এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হরমনপ্রীত কৌর। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১১৪ রানেই অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান বোর্ডে তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২২ রানের ইনিংস খেলেন সাথী রানি। ১৭ রানের ইনিংস খেলেন শামিমা সুলতান। ২৩ রান করেন সোহানা মোস্তারে। 


জবাবে রান তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-তেই ২ উইকেট হারায় ভারত। প্রথমে শেফালি আইট হয়ে ফিরে যান খাতা খোলার আগেই। স্মৃতি মন্ধানা ৩৪ বলে খেলে ৩৮ রান করেন। ৫টি বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। হরমনপ্রীত কৌর ৩৫ বলে ৫৪ রান করেন। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান।