করাচি: অবিলম্বে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাকিস্তানের ‘হোম সিরিজ’ বন্ধ করার দাবি জানালেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ ইউসুফ। তাঁর মতে, আবু ধাবি, শারজা ও দুবাইয়ের ফ্ল্যাট ও লো বাউন্সি পিচে ক্রমাগত খেলার ফলে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের টেকনিক ও দক্ষতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখনই আমিরশাহিতে খেলা বন্ধ না করলে আরও ক্ষতি হবে। নিরপেক্ষ কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কাকে বেছে নেওয়া যেতে পারে।

 

টি-২০ ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতিও পছন্দ নয় ইউসুফের। তিনি পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, টি-২০ ক্রিকেটের উপর নিয়ন্ত্রন আনতে না পারলে দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি হবে। এর ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শুধু টি-২০ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দক্ষ দল হয়ে যেতে পারে পাকিস্তান। তাঁদের পক্ষে টেস্টে ভাল খেলা সম্ভব হবে না।

 

ভারতের উদাহরণ টেনে ইউসুফ বলেছেন, আইপিএল-এর মতো বড়মাপের টি-২০ প্রতিযোগিতা আয়োজন করার পরেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পারফরম্যান্স দেখেই জাতীয় দলে খেলোয়াড় বাছাই করা করে ভারত। শুরু থেকেই প্রতিভা অন্বেষণ এবং তরুণ ক্রিকেটারদের টেকনিক উন্নত করার উপর জোর দেওয়া হয়। সেই কারণেই আইপিএল-এ যে তরুণরা খেলছে, তাদেরও টেকনিক খুব ভাল।

 

প্রাক্তন পাক অধিনায়ক আরও বলেছেন, আইপিএল-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ভাল খেলেছিলেন তরুণ অলরাউন্ডার সরফরাজ খান। কিন্তু তারপরেও আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি তাঁকে ইংল্যান্ডে গিয়ে আসল ক্রিকেট খেলে ব্যাটিং দক্ষতা উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন।

 

ইউসুফের মতে, পাকিস্তানকেও ভারতের মতো করে দল বেছে নিতে হবে। টি-২০ ক্রিকেটের পারফরম্যান্স দেখলে হবে না। টেস্ট ক্রিকেটের উপর জোর দিতে হবে। আমিরশাহিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুটি টেস্টে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ৯টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু চলতি ইংল্যান্ড সফরে প্রথম দুটি টেস্টে মাত্র একজন শতরান করতে পেরেছেন। তা-ও ইংল্যান্ডের পিচে এবার তেমন স্যুইং বা পেস নেই। তাই ঘরোয়া ক্রিকেটে যে ব্যাটসম্যানদের ভাল টেকনিক দেখা যাচ্ছে, তাদেরই জাতীয় দলে নিতে হবে। তবেই পাকিস্তানি ক্রিকেটের উন্নতি হবে।