কলকাতা: খেলােয়াড় জীবনে শুরু থেকেই পাশে পেয়েছেন অভিভাবকের মতো। এবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়ানে আবেগপ্রবণ হয়ে গেলেন প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য। রবীন্দ্র সদনে প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে স্মৃতিতে ভেসে এল পুরনো দিনের অনেক কিছুই। সুব্রত বলেন, ''আমাকে সই তো সুব্রতদা করিয়েছিল। খারাপ ও ভাল সময়ে পাশে ছিল। এমন একটা মানুষ চলে যাবেন ভাবনার বাইরে। খুব খারাপ লাগছে। বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না। এত অনুপ্রেরণা কারও থেকে পাইনি। আমার খেলোয়াড়ি জীবন মানেই স্মৃতি। আমি ওঁনার বাড়ি যেতাম। দেখতে পারছিলাম না। খুব কষ্ট লাগছিল।'' উল্লেখ্য, বঙ্গ রাজনীতিতে নক্ষত্র পতন। চলে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। গতকাল ৭৫ বছর বয়সে এসএসকেএম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২২মিনিটে ম্যাসিভ কার্ডয়াক অ্যারেস্টের পর মৃত্যু হয় তাঁর। আজই বাড়ি ফেরার কথা ছিল।


এদিকে বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ওঁর সঙ্গে অনেক স্মৃতি রয়েছে। সেগুলি মনে করলেই কষ্ট বাড়ছে। আমি সবে কলেজে ভর্তি হয়েছি। সুব্রতদার একান্ত সচিব বাবলু মুখোপাধ্যায়ের ভাই অচিন্ত্য মুখোপাধ্যায় তিনিই একডালিয়াতে থাকতেন, সেই আমাকে প্রথম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে নিয়ে যান। সালটা ৭১। সেই থেকেই সুব্রতদার সঙ্গে আমার আলাপ।"   


এরপরই স্মৃতির সরণিতে হেঁটে পার্থ বলেন, "রাজনৈতিক তত্ত্বকথায় নয়, ওঁকে দেখে ছাত্র পরিষদে নাম লিখিয়েছিলাম। আজ আমার প্রকৃত গুরু বিয়োগ হল।"  পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলে চলেন, "অসম্ভব মিষ্টি খেতে ভালবাসতেন, মৌরলা মাছ-গুড় খেতে ভালবাসতেন। কত বলব একটা বই হয়ে যাবে সুব্রতদার সম্পর্কে বলতে গেলে। আমার রাজনৈতিক জীবনের গুরু ছিলেন। আজ এমন একটা দিনে হল যখন কালীপুজোর দিনে আঁধার নেমে এল। কত রকম রঙ্গ, রসিকতা হয়েছে। কিন্তু আমুদে মানুষ ছিলেন। সুব্রতদা নেই এটা ভাবতে পারছি না। চিকিৎসা হল, কিন্তু চলে গেলেন। যেমন অকস্মাৎ দেখা হয়েছিল, তেমন অকস্মাৎ আজ বিলীন হয়ে গেলেন। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আজ।"             


আরও পড়ুন: “শেষ দেখা হল না, মনটা ভাল নেই,’’ সুব্রতকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শমীকের