মুম্বই: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। সেই এশিয়া কাপেরই ম্যাচে। যতবারই এই টুর্নামেন্টে ভারত-পাক (IND vs PAK) ম্যাচের ইতিহাস নিয়ে কথা হবে, ততবারই উঠে আসবে সুরেশ রায়নার (Suresh Raina) দুরন্ত ৮৪ রানের ইনিংস। ২০০৮ সালে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে তাঁদেরই ঘরের মাঠে ঝোড়ো ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ভারতের প্রাক্তন এই তারকা ব্যাটার। ওস্তাদের মার সিরিজের রায়নার সেই ইনিংস নিয়েই আজকের প্রতিবেদন -
বীরু সেঞ্চুরির পরেও রায়না নায়ক
করাচির মাঠ। চেনা পরিবেশ। চেনা সমর্থকদের সামনে খেলা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাহাড়প্রমাণ ২৯৯ রান বোর্ডে তুলে নেয় পাকিস্তান। শোয়েব মালিক ১২৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। বিশাল রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই গৌতম গম্ভীরের উইকেট হারায় ভারত। এরপর বীরেন্দ্র সহবাগকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ডে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেন রায়না। এই টুর্নামেন্টে শুরুতে রায়নার দলে সুযোগ পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সেবার সুযোগ পেয়ে নিন্দুকদের জবাব দেন রায়না ব্যাট হাতেই। সেই ম্যাচে সহবাগ ৯৫ বলে ১১৯ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু তাঁর ইনিংসকেও টেক্কা দিয়ে দেয় রায়নার ঝোড়ো অর্ধশতরান। উমর গুল, সোহেল তনভীর, আফ্রিদিদের সামনে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটার।
রান তাড়া করে দুরন্ত জয়
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনিংয়ে সলমান বাট ও শোয়েব মালিক দারুণ শুরু করেছিলেন। বাট ৩৫ রানে ফিরলেও মালিক ছিলেন দুরন্ত ছন্দে। ১১৯ বলে ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মিডল অর্ডারে শোয়েবকে যোগ্য সঙ্গে দেন মহম্মদ ইউসুফ, মিসবা উল হক ও ইউনিস খান। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৯৯ রান বোর্ডে তুলে নেয় পাকিস্তান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় টিম ইন্ডিয়া। সহবাগ তাঁর ইনিংসে মোট ১২টি বাউন্ডারি ও ৫টি ছক্কা হাঁকান। রায়না ৬৯ বলে ৮৪ রানের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। শেষ দিকে যুবরাজ ৪৮ ও ধোনি ২৬ রানের ইনিংস খেলেন। ৪২.১ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত। উল্লেখ্য, রবিবার এশিয়া কাপে আরও একবার পাক বধ করে ভারত। ৫ উইকেটে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় টিম রোহিত।