ঢাকা: গড়াপেটার প্রস্তাব পাওয়া সত্ত্বেও আধিকারিকদের বিষয়টি না জানানোয় নির্বাসিত হয়েছেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার শাকিব আল-হাসান। এ বছরের অক্টোবরে তাঁর নির্বাসনের মেয়াদ শেষ হবে। ফলে ততদিন মাঠের বাইরেই থাকতে হচ্ছে এই ক্রিকেটারকে। তবে তিনি হতাশ নন। কারণ, করোনা ভাইরাসের জেরে এখন সব খেলা বন্ধ। ফের কবে খেলা শুরু হবে বলা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন শাকিবের স্ত্রী উমি আহমেদ শিশির।


এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব। সেখান থেকেই বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি অনুভব করেছি, অজ্ঞতার জন্য কিছু জিনিস হাল্কাভাবে নেওয়া যায় না। এটাই হয়তো আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষা। এই সময়টা আমার কাছে খুব কঠিন। কারণ, সবসময় আমার মনে হচ্ছে, আমি খেলছি না বা খেলতে পারছি না। এর মধ্যে একটাই ভাল হয়েছে, আমাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে পেরেছি। বড় মেয়ের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশে থাকতে পারিনি। আমি লকডাউনের সময় ওদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করছি। লকডাউনের সময় বাড়িতে থাকার জন্য যাতে বিমর্ষ না হয়ে পড়ি, সেটা আমার জন্য অত্যন্ত জরুরি।’

শাকিব আরও বলেছেন, ‘আমি খেলায় ফিরতে চাই। ৪-৫ মাস পরে মাঠে ফিরব। তার আগে অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, যেখান থেকে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই শুরু করতে হবে। আমি নিজের কাছ থেকে এটাই আশা করছি। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চলাকালীন আমি এবি ডিভিলিয়ার্সের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সাধারণ কথাই হয়েছিল। তিনি আমাকে বলেন, অনেক ম্যাচেই দেরিতে ব্যাট করতে নেমেছেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামলে আরও রান করতে পারতেন এবং দলকে সাহায্য করতে পারতেন। দলের কথা ভেবে তাঁকে চার, পাঁচ বা ৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামতে হত। তাঁর তত্ত্ব ছিল, মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করতে নেমে ৭০-৮০ রান করবেন। এত কখনও কখনও তাঁর দলের সুবিধা হত, আবার কখনও কখনও সুবিধা হত না। কিন্তু তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামলে তিনি ১০০-১২০ রান করতে পারতেন। তার ফলে হয়তো দল জয় পেত।’