গুয়াহাটি: সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি (Syed Mushtaq Ali T20) ম্যাচে দুরন্ত শুরু বাংলার। বৃহস্পতিবার ছত্তীশগঢ়কে হারানোর পর শুক্রবার বঢোদরাকে ২ রানে হারাল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের দল। বঢোদরার হয়ে এদিন খেলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তারকা ক্রুণাল পাণ্ড্য। যাঁকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের স্পেশ্যালিস্ট মনে করা হয়। তা সত্ত্বেও বাংলার জয় সকলের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে।


আর বাংলার জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন দুই অলরাউন্ডার, শাহবাজ আমেদ ও ঋত্ত্বিক রায়চৌধুরী। অসমের গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে বাংলা ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৬ রান করে। বাংলার শুরুটা ভাল হয়। দুই ওপেনার ৫.৪ ওভারে ৪৪ রান যোগ করেন। তবে বৃহস্পতিবার ছত্তীশগঢ়কে হারানোর নায়ক, অধিনায়ক সুদীপ ক্রিজে জমে গিয়েও বড় রান পাননি। ১৬ বলে ১৩ রান করে ফেরেন তিনি। তিন নম্বরে নেমে রান পাননি কর্ণ লাল। ৭ বলে ৩ করে ফেরেন তিনি। রান পাননি ঋদ্ধিমান সাহাও। ১০ বলে ৭ রান করে ফেরেন বাংলার তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটার। ২৭ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন আর এক ওপেনার অভিষেক দাসও। একটা সময় বাংলা ৮১/৫ হয়ে গিয়েছিল।


তবে সেখান থেকে ফের বাংলাকে ম্যাচে ফেরান দুই অলরাউন্ডার ঋত্ত্বিক ও শাহবাজ। ২৫ বলে ৩৪ রান করেন শাহবাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছক্কা। ঋত্ত্বিক করেন ১৬ বলে ২১ রান। একটি ছক্কা মেরেছেন তিনি। শেষ দিকে আকাশ দীপ ৬ বলে ১২ রান করে বাংলার স্কোরকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন। ক্রুণাল ৪ ওভার বল করে ২৫ রান করলেও কোনও উইকেট পাননি।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় বঢোদরা। ব্যাট হাতে সাফল্যের পর বল হাতেও ভেল্কি দেখাতে শুরু করেন শাহবাজ। আইপিএলে যিনি বিরাট কোহলির নেতৃত্বে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে খেলেন। আইপিএল যে তাঁকে মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী করে তুলেছে, তা ফের একবার প্রমাণ করলেন শাহবাজ। চাপের মুখে বঢোদরার দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন তিনিই।


এরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে বঢোদরা। ব্যাট হাতে একমাত্র লড়াি করেছিলেন ক্রুণাল। ৪৩ বলে ৫৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৪৪ রানে আটকে যায় বঢোদরা। বাংলা ম্যাচ জেতে মাত্র ২ রানে।


ম্যাচের পর শাহবাজ বলেছেন, 'উইকেট বেশ কঠিন ছিল। বল বিচিত্র আচরণ করেছে। আমরা জানতাম ১৪৬ ভাল স্কোর এই পিচে। ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় অন্য প্রান্ত থেকে রান আটকে রেখে চাপ তৈরি করেছিল। সেটাই কাজে লাগিয়েছি।'