নাগপুর: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়লেন অক্ষয় কার্নেওয়ার। বিদর্ভের বাঁহাতি স্পিনার বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে নিজের চার ওভারই মেডেন নেন। অর্থাৎ, নিজের বোলিং কোটায় কোনও রান খরচ করেননি অক্ষয়!


মণিপুরের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি (Syed Mushtaq Ali T20) ট্রফির ম্যাচে এমন দুর্দান্ত নজির গড়েন অক্ষয়। কোনও রান না দিয়ে ২টি উইকেটও নিয়েছেন তিনি। প্লেট গ্রুপের ম্যাচে বিদর্ভ ১৬৭ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে মণিপুরকে।


প্রথমে ব্যাট করে বিদর্ভ ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২২২ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মণিপুর ১৬.৩ ওভারে ৫৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।


এদিকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই যে গ্রুপকে বলা হচ্ছিল মারণ গ্রুপ বা গ্রুপ অফ ডেথ, সেখানে দাপট বাংলার। গ্রুপের ৬ দলের মধ্যে ছিল মুম্বই, কর্নাটক, গতবারের রানার্স বঢোদরা ও বাংলা। গ্রুপ থেকে সর্বোচ্চ দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করার সম্ভাবনা ছিল।


সেই মারণ গ্রুপেই চমক দিল বাংলা। প্রথমে ক্রুণাল পাণ্ড্যের বঢোদরা, পরে মঙ্গলবার মণীশ পাণ্ডে (Manish Pandey), ময়ঙ্ক অগ্রবাল (Mayank Agarwal), দেবদত্ত পড়িক্কল, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, করুণ নায়ার সমৃদ্ধ প্রবল শক্তিশালী কর্নাটককে হারিয়ে দিল সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল। ৬ দলের মধ্যে গ্রুপ শীর্ষে থেকে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির (Syed Mushtaq Ali T20) শেষ আটে পৌঁছে গেল বাংলা। কর্নাটককে ৭ উইকেটে হারালেন সুদীপ-ঋদ্ধিমান সাহারা (Wriddhiman Saha)।


টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন কর্নাটকের অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডে। তবে প্রথম ওভারেই দুি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যান তাঁরা। যা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। ব্যাট হাতে ব্যর্থ সদ্য আইপিএল খেলে ফেরা ময়ঙ্ক (৪), দেবদত্ত (০)। কর্নাটকের হয়ে যেটুকু লড়াই করার করলেন মণীশ পাণ্ডে (২৭ বলে ৩২ রান) ও করুণ নায়ার (৪৪ বলে ৪৪ রান)। প্রথমে ব্যাট করে কর্নাটক ৮ উইকেটে ১৩৪ রান তোলে। বাংলার বোলারদের মধ্যে মুকেশ ৩টি ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক ২টি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট আকাশ দীপ ও শাহবাজ আমেদের।


জবাবে ব্য়াট করতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে যান সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৪ রান)। তবে অভিমন্যু ঈশ্বরণ ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি করেন। চাপের মুখে ৪৯ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় (৯ বলে ১৮) ও ঋদ্ধিমান সাহা (২৪ বলে ২৭) ব্যাট হাতে লড়াই করেন। ২৪ বলে ৩৪ রান করে ক্রিজে ছিলেন কাইফ আমেদ।