দুবাই : বর্ণবিদ্বেষ বিতর্ক নিয়ে শেষমেশ মুখ খুললেন কুইন্টন ডি কক। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইলেন তিনি। ক্ষমাপ্রার্থনার সুরেই বললেন, 'আমি বর্ণবিদ্বেষী নই। পরবর্তী ম্যাচগুলিতে দলের সঙ্গেই হাঁটু মুড়ে প্রতিবাদ জানাব।’ ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় কুইন্টন ডি ককের বক্তব্য শেয়ার করেছে। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান-উইকেটকিপার যেখানে বলেছেন, 'প্রথমনেই আমি আমার সতীর্থ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। বর্ণবিদ্বেষ কখনও সমর্থন করি না। যদি হাঁটু মুড়ে বসে প্রতিবাদ করলে তা থেকে কোনও বার্তা দেওয়া হয় ও কাউকে কিছু শেখানো সম্ভব নয়, তাহলে এর পর থেকে সেটা করতে বিন্দুমাত্র কুন্ঠা করব না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে না খেলাটা মোটেই কাঙ্খিত ছিল না। যদি আমার পদক্ষেপে কেউ আহত হয়ে থাকেন, তার জন্য মন থেকে ক্ষমাপ্রার্থী।'


টি২০ বিশ্বকাপ চলাকালীন কুইন্টন ডি ককের হাঁটু মুড়ে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ না নেওয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচ না খেলতে চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় হয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। মার্কিন মুলুকে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে আটক করে এক শেতাঙ্গ পুলিশের হাঁটু দিয়ে গলায় চেপে বসার জেরে মৃত্যু হয়েছিল। যার পর থেকে 'ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটার্স' আন্দোলনে তোলপাড় হয়েছে মার্কিন মুলুক। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। আর হাঁটু মুড়ে বসে প্রতিবাদ হয়ে উঠেছে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তাবাহক।






টি২০ বিশ্বকাপের মঞ্চে হঠাৎ কুইন্টনের হাঁটু মুড়ে প্রতিবাদে অংশ না নেওয়া ও ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্তে তাই তোলপাড় হয় ক্রিকেটবিশ্ব। বিশেষ করে বরাবর বর্ণবিদ্বেষের একাধিক ঘটনা যে দেশে সেই দক্ষিণ আফ্রিকার কোনও ক্রিকেটারের এই পদক্ষেপ ঘিরে ওঠে নিন্দার ঝড়। কুইন্টন ডি কক যদিও তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনায় পরিবারের রক্তের শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ দুই চামড়ার লোক থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন। কুইন্টন ডি কক আপাতত ক্ষমা চেয়ে নিলেও এভাবে প্রতিবাদে সামিল না হওয়া ও ম্যাচ না খেলার জেরে কোনও শাস্তির মুখে পড়েন কি না, আপাতত সেটাই দেখার।


আরও পড়ুন- হাঁটু গেড়ে বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদে নারাজ, কী শাস্তি পেতে চলেছেন কুইন্টন ডি কক?