দুবাই: ২০১২ সালের পর প্রথমবার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে নক আউট পর্বের বাধা টপকাতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট দল। আজ নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ ফলে আক্ষরিত অর্থেই নিয়মরক্ষার। আর এই ম্যাচের পরই শেষ হতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেটে কোহলি-শাস্ত্রী জুটির পথ চলা। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে জাতীয় দলের হয়ে শেষবার মাঠে নামবেন ক্যাপ্টেন কোহলি। এই ম্যাচের পরই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে নেতৃত্ব ছাড়তে চলেছেন বিরাট। একইসঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছেন শাস্ত্রী সহ কোচিং স্টাফরা। তাই নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় দিয়েই শেষ করতে চাইবেন শাস্ত্রী-বিরাট। 


নামিবিয়ার মতো দুর্বল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দল যে জয় পাবে তা বলাই যায়। এই ম্যাচে একাদশে কিছু বদলও করা হতে পারে। সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে, এমনও শোনা যাচ্ছে। রাহুল চাহারের মতো তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিতে পারেন বিরাট। আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেওয়ায় গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ফলে ভারতের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে গতকালই। এমনকী ভারতীয় ক্রিকেটাররা তাঁদের ঐচ্ছিক অনুশীলনও বাতিল করে দিয়েছিল কিউয়িদের জয়ের খবর পাওয়ার পর।


শাস্ত্রী কোচ হয়ে ভারতীয় দলে আসার পর থেকে টেস্ট ফর্ম্যাটে প্রচুর সাফল্য পেয়েছ টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুবার টেস্ট সিরিজ জয় থেকে শুরু করে ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। বিরাটের 'পছন্দের মানুষ' শাস্ত্রীকে নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে যদিও। তার একটাই কারণ আইসিসি ট্রফিতে পরপর ব্যর্থতা। ৪ বছর দলের সঙ্গে থেকেও একটিও আইসিসি ট্রফি জিততে পারেননি কোচ শাস্ত্রী। ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, ২০২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল ও চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ব্যর্থতাই সঙ্গী হয়েছে। ২০১২ সালের পর প্রথমবার এই ফর্ম্যাটে বিশ্বকাপে নক আউট পর্বে জায়গা করে নিতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। এই পরিস্থিতিতে সমালোচনায় বারবার বিদ্ধ হতে হয়েছিল শাস্ত্রী-বিরাটকে। 


জাতীয় দলে শাস্ত্রী-বিরাট জমানা খুব একটা সুখকর না হলেও, এই ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাইবেন ২ জন।