আবু ধাবি: দুরন্ত, অনবদ্য, বিধংসী। যেভাবে ব্যাখা করা যায় কার্টিস ক্যাম্ফারের বোলিংকে। একটা, দুটো, তিনটে নয়। টানা ৪ বলে ৪ উইকেট। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে এই কীর্তি গড়লেন আয়ারল্যান্ডের এই ডানহাতি পেসার। আফগানিস্তানের রশিদ খান, শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গার পর তৃতীয় বোলার হিসেবে ৪ বলে ৪ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন ক্যাম্ফার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনে এদিন আবু ধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক পিটার সিলার। বল হাতে জ্বলে ওথেন এরপর ক্যাম্ফার। শুধু হ্যাটট্রিক করেই থেমে থাকা নয়। ৪টে উইকেট পরপর তুলে নেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ১৯ তম হ্যাটট্রিক। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে ২০০৭ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হ্যাট্ট্রিক করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ব্রেট লি।
এদিন নেদারল্যান্ডস ইনিংসের দশম ওভারে বল করতে এসেছিলেন ক্যাম্ফার। ওভারের দ্বিতীয় বলে আকারম্যানকে ফিরিয়ে দেন তিনি। এরপর খাতা খোলার আগেই পরপর ২ বলে ফিরে যান রায়ান টেন ডসখাতে ও স্কট এডওয়ার্ডস। টানা ৩ বলে ৩ উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কার্টিস ক্যাম্ফার। কিন্তু এর পরের বলেও চলে আসে উইকেট। ভান ডার মারউইকে বোল্ড করে দেন তিনি। এইভাবে নেদারল্যান্ডসের মিডল অর্ডার একাই ভেঙে দেন তিনি। তবে নিজের শেষ ২ ওভারে বল করতে এসে আর কোনও উইকেট তুলতে পারেননি এই ডানহাতি পেসার। শেষ পর্যন্ত নিজের কোটার ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েই বোলিং স্পেন শেষ করেন ক্যাম্ফার। এটা ছিল ক্যাম্ফারের কেরিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর আগে ৪ ম্যাচে ঝুলিতে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। বিশ্বকাপের মঞ্চেই একেবারে রেকর্ড গড়ে হ্যাটট্রিকের মালিক হয়ে গেলেন তিনি।
নেদারল্যান্ডস এদিন রানই তুলতে পারেনি নির্ধারিত ২০ ওভারে। ওপেনার ম্যাক্স ওডোডের অর্ধশতরানের ইনিংস ছাড়া গোটা ইনিংসে বলার মতো কিছুই নেই। ক্রমাগত ব্যাটিং ব্যর্থতায় ২০ ওভারে ১০৬ রানে অল আউট হয়ে যায় নেদারল্যান্ডস।