নয়াদিল্লি: ভারত-পাকিস্তান মহারণ মানেই আলাদা একটা আবহ। ক্রিকেটের অন্যান্য যাবতীয় লড়াইয়ের তুলনায় এই ২ দলের লড়াই ঘিরে সমর্থকদের আবেগ, উচ্ছ্বাসও আলাদা পর্যায় পৌঁছে যায়। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার সুরেশ রায়না এমন অনেক বারত-পাক মহারণের সাক্ষী থেকেছেন। খুব কাছ থেকে দেখেছি এই ম্যাচ ঘিরে যাবতীয় উত্তাপ-উন্মাদনা। সেই অভিজ্ঞতাই এবার তিনি ভাগ করে নিলেন। আইসিসি কলামে রায়না ভারত-পাক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে রায়না জানিয়েছেন, 'প্রথমবার ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে এই ফর্ম্যাটে ২ দলের খেলা ছিল। ভারত ও পাকিস্তান যখন খেলা হয়, তখন তা ভক্তদের জন্য সবসময়ই উত্তেজনাপূর্ণ এবং ভাল হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ম্যাচের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ভরপুর বিনোদন উপভোগ করে তাঁরা। সেবার ফাইনালেও আমরা মুখোমুখি হয়েছিলাম। সেই ম্যাচে ভারত ৫ রানে জয় পেয়েছিল।'
রায়না আরও বলেন, '২০১৪, ২০১৬ সালেও দলে ছিলাম আমি। একজন ক্রিকেটার হিসেবে যদি আমার অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়া হয়, তবে আমি বলব যে এটা সবসময়ই ভীষণ চাপের। নিজেদের নার্ভ ঠিক রেখে খেলতে হয়। ফোকাসড থাকাটা খুব দরকার। তবেই একমাত্র ৪০ ওভারের খেলায় ভাল খেলা সম্ভব হবে। সবসময় চাপটা সামলে খেলাটা উপভোগ করা উচিত। যা ভারতীয় দল বেশ কয়েকবছর ধরে করে আসছে।'
পাকিস্তানের ব্যাটিং বিভাগের প্রধান মুখ যদি বিরাট কোহলি হন, তবে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের দিকেও নজর থাকবে রবিবারের ম্যাচে। সে প্রসঙ্গে রায়না বলেন, 'বিরাট ও বাবর দুজনেই দুর্দান্ত অধিনায়ক। ওঁরা জানে যে এই ম্যাচটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ওঁদের জন্য। ২ টো দলের প্লেয়ারদেরই এই ম্যাচ ঘিরে আবেগের বহিস্ফুরণ হয়। অধিনায়ক হিসেবে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ২ জনেরই। বাবর টি-টোয়েন্টিতে অন্যতম সেরা ব্যাটার। বিরাটও বিশ্বমানের ব্যাটার।'
সিএসকের হয়ে আইপিএলে খেলা অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটার বলেন, 'ভারতীয় দলের প্লাস পয়েন্ট একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের উপস্থিতি। বিরাট, রোহিত রয়েছে। জাদেজা রয়েছে অলরাউন্ডার হিসেবে। আইপিএল খেলার সুবাদে আমাদের প্লেয়ারদের সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে অনেক। এর জন্য আইপিএলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।'