নয়াদিল্লি: টি ২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারত হেরে গিয়েছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে। গত রবিবারের এই ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে দুরমুশ হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড্ ভারতীয় দলের পেসার মহম্মদ শামি। ট্রোল বাহিনীর একাংশ ভারতীয় দলের পেস বোলিং অ্যাটাকের অন্যতম স্তম্ভ শামিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলেও আক্রমণ করেছে। 


রবিবারের ম্যাচে শামিকে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। ৩.৫ ওভারে ৪৪ রান দেন তিনি। জয়ের জন্য ১৫২ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৩ বল বাকি থাকতে তুলে নেয়। শুধু শামি কেন, ভারতীয় দলের কোনও বোলাররাই সেভাবে বিব্রত করতে পারেননি পাক ব্যাটারদের। এই ম্যাচে হারার ফলে বিশ্বকাপে ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেজয় থাকার রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। রবিবারের ম্যাচে মেন ইন ব্লু ব্রিগেডকে ফর্মে দেখা যায়নি। ব্যাট ও বলে সাদামাটা পারফরম্যান্সের কারণে পাকিস্তান জয় পেয়েছে। কিন্তু এরপরও বিশেষ করে শামিকে বেছে নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় নিশানা করে ট্রোল ব্রিগেড। ভারতীয় এই পেসারকে পড়তে হয়েছে বিভিন্ন বিদ্রুপাত্মক মন্তব্যের মুখে। আর এই অবস্থায় শামি ও পুরো টিম ইন্ডিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে বাকি ক্রিকেটাররা। বর্তমান থেকে প্রাক্তন একাধিক ভারতীয় ক্রিকেটারই কোহলির দলের ওপর আস্থা রাখতে বার্তা দিয়েছেন সমর্থকদের। পাশাপাশি তাঁদের বার্তা এই হারের ধাক্কা কাটিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর দক্ষতা রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা শামিকে এভাবে নিশানা করার তীব্র নিন্দা করেছেন। চলতি বিশ্বকাপের আগামী ম্যাচগুলিতে শামি দুর্দান্ত পারফর্মম্যান্সের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াবেন বলে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। 



ট্রোলিংয়ের বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ায় শামির পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় দলের অগনিত সমর্থক। এরইমধ্যে  অনুরাগীরা একটি পুরানো ভিডিও শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিওতে ২০১৭-তে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ফাইনালে ভারতের হারের পর এক পাক সমর্থকের অভব্য বিদ্রুপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে।  লন্ডনের ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতের হতাশাজলক হারের পর ওই ঘটনা ঘটেছিল। ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় এক পাক সমর্থক ভারতীয় দলের সদস্যদের বিদ্রুপ করছিলেন। এতেই শামি মেজাজ হারান। ওই  পাক সমর্থক বলেই চলেছিলেন, বাপ কৌন হ্যায়, বাপ কৌন হ্যায়।  শামি ঘুরে দাঁড়িয়ে ওই পাক সমর্থদের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। শেষপর্যন্ত মহেন্দ্র সিংহ ধোনি শামিকে থামান।  ওই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।