সিডনি: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। দুরন্ত শতরান হাঁকালেন গ্লেন ফিলিপস। বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। মূলত এই ২ জনের পারফরম্যান্সের ওপর ভর করেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৬৫ রানে জয় ছিনিয়ে নিল কিউয়ি বাহিনী। এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ড। এরপর আফগানিস্তানের সঙ্গে তাঁদের ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত চলতি টুর্নামেন্টে অপরাজিত রয়েছে নিউজিল্যান্ড শিবির।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারই ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। ফিন অ্যালেন ১ রান করেন। কনওয়ে ১ রান করেন ও উইলিয়ামসন ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে এরপরই খেলার হাল ধরেন গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারেল মিচেল মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। ফিলিপস এদিন ৬৪ বলে ১০৪ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। মিচেল ২২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৭ রান বোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভেঙে পড়ে লঙ্কা ব্যাটিং লাইন আপ। নিশাঙ্কা, কুলশ মেন্ডিস, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, চারিথ আসালাঙ্কা কেউই রান পাননি। কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন ভানুকা রাজাপক্ষে ও অধিনায়ক দাসুন শনাকা। রাজাপক্ষে ৩৪ ও শনাকা ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু তাঁরাও জয় এনে দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১০২ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচেও এই টুর্নামেন্টে জয় পায়নি শ্রীলঙ্কা।


রাহুলে আস্থা


কাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচের আগেরদিন আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বিক্রম বলেন, 'আমরা এই বিষয়ে (রাহুলের পরিবর্তে পন্থকে দিয়ে ওপেন করানো) কিছুই ভাবছি না। আমার মনে হয় না (রাহুলকে বাদ দেওয়ার জন্য) এটুকু যথেষ্ট। ও যথেষ্ট ভাল ব্যাটিং করছে এবং অনুশীলন ম্যাটগুলিতেও রান পেয়েছে। সুতরাং, এখনই আমরা কিছুই বদল করছি না।'


পাওয়ার প্লেতে রাহুলের মন্থর ব্যাটিং নিয়েও কিন্তু প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে রাহুলের মন্থর ব্যাটিং রোহিতের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছ। কিন্তু এই বিষয়েও বেশি চিন্তাভাবনা করতে নারাজ রাঠৌর। তাঁর দাবি, 'প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নিজেদের ইনিংস গড়েন এবং প্রত্যেকের খেলার ধরনও ভিন্ন। একটা ভাল পার্টনারশিপে তো দুই ক্রিকেটার একে অপরের পরিপূরক হন। যদি রাহুল ফর্মে ফিরে আসেন, তাহেল ও কিন্তু শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে পারে।'