গায়ানা : সাত ম্যাচে তাঁর ঝুলিতে সাকুল্যে ৭৫ রান। গড় ১০.৭১। ব্যাট হাতে চলতি টি২০ বিশ্বকাপের একের পর এক ম্যাচে ব্যর্থ। কার্যত, খারাপ সময়ের মধ্যে চলছেন বিরাট কোহলি। এই মুহূর্তে বিরাটের ব্যাটিং নিয়ে বিশেষ বার্তা দিলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। 


মিড-উইকেটের উপর দিয়ে তাঁর অসাধারণ ছক্কায় আশার আলো দেখেছিলেন ভারতের অগুণিত ভক্ত। হয়ত সেমিফাইনালে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন তিনি, এমন আশা করেছিলেন অনেকে। ব্যাট হাতে টানা খরা কাটিয়ে ওঠার আগে ফের পতন। রিজ টপলির বলে ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে যান কোহলি। 


কিন্তু, বিরাটের টানা ব্যাটিং-ব্যর্থতা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। বরঞ্চ তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন, "ফাইনালে সম্ভবত কোহলি ভাল কিছু করবেন বলে আশা প্রকাশ করলেন তিনি। রোহিত বলেন, ওঁর (বিরাট কোহলির) গুণগত মান আছে। যে কোনও খেলোয়াড়ের এই পরিস্থিতি চলতে পারে। ওঁর ক্লাস কি তা আমরা জানি। এইসব বড় খেলায় ওঁর গুরুত্বও আমরা বুঝি। ফর্মটা কখনোই সমস্যা নয়। যখন কেউ ১৫ বছর ক্রিকেট খেলে নেন, তখন ফর্মটা কখনোই সমস্যা। ওঁকে দেখে ঠিকই লাগছে। ওঁর উদ্দেশ্যও রয়েছে। সম্ভবত ফাইনালের জন্য খেলাটা তুলে রেখেছেন। একদম।" 


১০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান। ফের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ভারত। সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানে হারিয়ে দিল রোহিত শর্মা-বাহিনী। বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে প্রয়োজনের মুহূর্তে জ্বলে উঠলেন রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদব। তাঁদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করে ১৭১ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। ভারত তখন ৫.২ ওভারে ২ উইকেট খুইয়ে কিছুটা চাপে। এরপর হাল ধরে রোহিত-সূর্যর জুটি। ৭৩ রানের অসাধারণ জুটি ভারতকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়। ৩৯ বলে ৫৭ রান করেন ভারত অধিনায়ক রোহিত। অন্যদিকে, ৩৬ বল খেলে ৪৭ রান করেন সূর্যকুমার।


বাকি কাজটা একে একে এসে সেরে দেন হার্দিক পাণ্ড্য, আর. জাদেজা ও অক্ষর পটেল। প্রয়োজনীয় সময়ে ২টি ছক্কা হাঁকান হার্দিক। ২৩ রান করেন তিনি। অন্যদিকে, ৯ বল খেলে ১৭ রান তোলেন জাদেজা এবং ৬ বলে ১০ রান করেন অক্ষর। চ্যালেঞ্জিং পিচে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটের বিনিময়ে ১৭১ রান তোলে ভারত। জবাবে ইংল্যান্ড কোনও সময়ই ভারতীয় দলের রানের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবে বলে মনে হয়নি। 


এরপর বল হাতে ভেল্কি দেখানো শুরু করেন ভারতীয় বোলাররা। ইংল্যান্ডের ২৬ রানের মাথায় প্রথম ধাক্কাটা দেন অক্ষর পটেল। তুলে নেন জস বাটলারের উইকেট। দলের হয়ে বল হাতে নজর কাড়েন দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব ও অক্ষর পটেল। উভয়েই তিনটি করে উইকেট নেন। এই দুইয়ের স্পিন ফাঁদেই ১০৩ রানে অল আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। ১৬.৪ ওভারে ১০৩ রানে শেষ হয়ে যায় তাদের ইনিংস।


এবার শনিবার বার্বাডোজে ফাইনালে টুর্নামেন্টের অপর অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে রোহিতের ভারত। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।