মেলবোর্ন: শেষ ২ ওভারে ভারতের তখনও ম্যাচ জিততে বাকি ছিল ৩১ রান। বোলার ছিলেন হ্যারিস রউফ। যিনি তার আগে পর্যন্ত বল হাতে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন।
১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে রউফকে পরপর দুটি ছক্কা মারেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ভারতীয় শিবির বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, পাকিস্তানকে হারিয়ে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারানোর পর কোহলিকে নিয়ে জয়োধ্বনি। সতীর্থ হার্দিক পাণ্ড্য কোহলিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বলেই দিলেন যে, রউফকে ওইরকম ছক্কা একমাত্র কোহলিই মারতে পারেন।
বোর্ডের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেছেন, 'আমি খুব খুঁটিয়ে দেখেছি ওই দুটো শট। আমি নিজে প্রচুর ছক্কা মেরেছি। তবে ওই দুটো ভীষণ স্পেশ্যাল। আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি এত ক্রিকেট খেলেছি, এরকম ছক্কা মারিনি। মনে হয় না মিস্টার কোহলি ছাড়া কেউ ওরকম ছক্কা মারতে পারত।'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) পাক-বধের নায়ক তিনি। রবিবার তাঁর অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস দেখে গোটা বিশ্বে তাঁর নামে উঠছে জয়োধ্বনি। সেই বিরাট কোহলি অবশ্য জানিয়ে দিলেন, তিনি ক্রিজে গিয়ে বেশ চাপে ছিলেন। বরং ভয়ডরহীনভাবে ব্যাটিং করছিলেন সতীর্থ হার্দিক পাণ্ড্যই।
রবিবার মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেয় কোহলি-হার্দিকের জুটি। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৭৮ বলে ১১৩ রান যোগ করেন দুই তারকা। হার্দিক আউট হলেও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।
ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটের জন্য ক্রিকেট আড্ডায় বসেন কোহলি ও হার্দিক। সেখানে কোহলি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে কী, আমি খুব চাপে ছিলাম। আমি এরকম পরিস্থিতিতে অনেক পড়েছি। জানি এই ধরনের ম্যাচে কী প্রত্যাশা থাকে। তবে উল্টোদিকে হার্দিক ভয়ডরহীনভাবে ক্রিকেট খেলছিল। আমরা আলোচনা করে নিয়েছিলাম যে, নওয়াজের এক ওভার বাকি রয়েছে। হার্দিক ঠিক করে নিয়েছিল ওই এক ওভারে তিন-চারটে ছক্কা মারার চেষ্টা করবে। তারপর আমরা উপলব্ধি করলাম যে, পাকিস্তান নওয়াজকে (মহম্মদ নওয়াজ) দিয়ে শেষ ওভারটা করাবে। কারণ ওরা চাইছিল ম্যাচটাকে আগে শেষ করে দিতে। তখন আমি বললাম যে, আমরা রউফকে (হ্যারিস রউফ) আক্রমণ করলে খেলার রাশ নিজেদের হাতে নিতে পারি। তাহলেই ওরা ভয় পেয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন: কোহলির প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্ত পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটার