শিবাশিস মৌলিক ও সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা: দীপাবলির (diwali) দিন বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে (bantala leather complex) বিধ্বংসী আগুন (fire)। দুপুর ২টো নাগাদ বিধ্বংসী আগুন লাগে বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন। এখন আগুন নেভানোর কাজ চলছে। দমকল সূত্রে খবর, ছাদে আটকে পড়েছিলেন ১১ জন। তাঁদের প্রত্যেককেই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
কী পরিস্থিতি?
চর্মনগরীর জোন ৫-এ কারখানা ও গুদাম মিলিয়ে বিরাট এলাকায় আগুন লেগেছে। পাঁচ তলা ভবনের বিস্তীর্ণ অংশে এখনও আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারণা, কোনও ভাবে বাজি থেকে এই অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়ে থাকতে পারে। তবে এখনও আগুন লাগার কারণ স্পষ্ট নয়। আপাতত যা জানা যাচ্ছে, তাতে কারখানা ও গুদামে বিপুল পরিমাণ দাহ্য পদার্থ ও রাসায়নিক রাখা ছিল। সম্ভবত তার ফলেই আগুন গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে উপরের তলাগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। চিন্তার বিষয় হল, যখন অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়েছে তখনও কারখানার ভিতরে জনা পনেরো শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাঁরা আটকে পড়েন। উপায় না দেখে একসময়ে পাঁচ তলার ছাদে ছুটে যেতে হয় তাঁদের। স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ ও দমকলকর্মীদের তৎপরতাতেই তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই মুহূর্তে একটি হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে এসেছে দমকল। সেটি দিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই হাইড্রলিক ল্যাডারই অন্তত ১০ জনের উদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। কিন্তু মূল উদ্বেগ এখনও কাটেনি। আগুনের লেলিহান শিখা কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে? তীব্র উত্তাপ ছড়াচ্ছে এলাকায়। সঙ্গে কালো ঘন ধোঁয়া। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মরিয়া চেষ্টা করছে দমকল। কিন্তু দোতলা থেকে তিনতলায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। সব মিলিয়ে কঠিন লড়াই।
বার বার অগ্নিকাণ্ড...
দিনদুয়েক আগে কলকাতারই চেতলা এলাকার একটি আবাসনে আগুন লেগেছিল। ধনশ্রী এনক্লেভের চার তলার ফ্ল্যাটে ওই আগুনের ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল পৌঁছেছে। তবে আশঙ্কা ছিল আশপাশের ফ্ল্যাটেও আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও কী ভাবে ও কোথা থেকে আগুন লাগল, সেটা বোঝা যায়নি। তার পর দুদিনও গেল না। বিধ্বংসী আগুন বানতলার চর্মনগরীতে।
আরও পড়ুন:সারা বছর দুর্গারূপে পূজিতা মা ফুল্লরা, কালীপুজোয় কী রূপে পুজো হয় এই সতীপীঠে ?