মেলবোর্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) পাক-বধের নায়ক তিনি। রবিবার তাঁর অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস দেখে গোটা বিশ্বে তাঁর নামে উঠছে জয়োধ্বনি। সেই বিরাট কোহলি অবশ্য জানিয়ে দিলেন, তিনি ক্রিজে গিয়ে বেশ চাপে ছিলেন। বরং ভয়ডরহীনভাবে ব্যাটিং করছিলেন সতীর্থ হার্দিক পাণ্ড্যই।


রবিবার মেলবোর্নে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। মাত্র ৩১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেখান থেকে খেলা ঘুরিয়ে দেয় কোহলি-হার্দিকের জুটি। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৭৮ বলে ১১৩ রান যোগ করেন দুই তারকা। হার্দিক আউট হলেও ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি।


ম্যাচের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটের জন্য ক্রিকেট আড্ডায় বসেন কোহলি ও হার্দিক। সেখানে কোহলি বলেন, 'সত্যি কথা বলতে কী, আমি খুব চাপে ছিলাম। আমি এরকম পরিস্থিতিতে অনেক পড়েছি। জানি এই ধরনের ম্যাচে কী প্রত্যাশা থাকে। তবে উল্টোদিকে হার্দিক ভয়ডরহীনভাবে ক্রিকেট খেলছিল। আমরা আলোচনা করে নিয়েছিলাম যে, নওয়াজের এক ওভার বাকি রয়েছে। হার্দিক ঠিক করে নিয়েছিল ওই এক ওভারে তিন-চারটে ছক্কা মারার চেষ্টা করবে। তারপর আমরা উপলব্ধি করলাম যে, পাকিস্তান নওয়াজকে (মহম্মদ নওয়াজ) দিয়ে শেষ ওভারটা করাবে। কারণ ওরা চাইছিল ম্যাচটাকে আগে শেষ করে দিতে। তখন আমি বললাম যে, আমরা রউফকে (হ্যারিস রউফ) আক্রমণ করলে খেলার রাশ নিজেদের হাতে নিতে পারি। তাহলেই ওরা ভয় পেয়ে যাবে।'


শেষ পর্যন্ত রউফকেই আক্রমণ শুরু করেন কোহলি। জোড়া ছক্কা মেরে ভারতীয় শিবিরে বিশ্বাস তৈরি করে দেন যে, এই ম্যাচও জেতা সম্ভব।






মাঠেই কান্না


তিনি বরাবরই আবেগের প্রতিমূর্তি সম। প্রতিপক্ষের উইকেট পড়লে মাঠেই কার্যত গর্জন করে ওঠেন। হতাশায় কখনও মাথায় হাত দেন, কখনও বিপক্ষকে মানসিকভাবে দুমড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু করে দেন বাকযুদ্ধ।


কিন্তু বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) মাঠে কখনও কাঁদতে দেখেছেন? বিরাটের পরম ভক্তদের প্রশ্ন করলেও জবাব পাওয়া যাবে না।


রবিবার মেলবোর্নে মাঠে হাজির লক্ষাধিক সমর্থক সেই বিরল দৃশ্যই দেখলেন। যখন ভারতের জয়ের পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কোহলি।


শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। শেষ বলে মহম্মদ নওয়াজের বলে আর অশ্বিন সিঙ্গলস নিতেই পিচের ওপর বসে পড়েন কোহলি। তাঁকে দেখা যায় মুষ্টিবদ্ধ হাত পিচে ঠুকছেন। তারপরই বিরাটের চোখের কোনে দেখা যায় আনন্দাশ্রু। তাঁকে তখন আগলে রাখছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পাণ্ড্যরা। হার্দিকের সঙ্গে জুটি বেঁধেই পাক শিবিরে প্রত্যাঘাত করেছিলেন বিরাট। ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে প্রবেশ করেন হার্দিক।


আরও পড়ুন: কোহলির প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্ত পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটার