মেলবোর্ন: প্রথম ম্যাচেই প্রতিপক্ষ ছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান। আর সেই ম্যাচেই নজির গড়ে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত (Ind vs Pak)।
কী সেই নজির?
এতদিন তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যে ঘটনা ঘটেনি, সেই ঘটনাই ঘটিয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ড্যরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে (শেষ চার ওভারে) ভারত তাদের ইতিহাসে প্রথমবার ৫০-এর বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নজির গড়ল।
শেষ চার ওভারে কার্যত অসাধ্য সাধন করেছে ভারত। ম্যাচে একটা সময় অতি বড় ভারতীয় সমর্থকও আশা করেননি, যে ভারতীয় দল এই ম্যাচটা জিততে পারে। ব্যাট হাতে এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখালেন বিরাট কোহলি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন হার্দিক। পঞ্চম উইকেটে দুই ব্যাটার মাত্র ৭৮ বলে ১১৩ রান যোগ করে ভারতকে ম্যাচ ফিরিয়ে আনে। ৩৭ বলে ৪০ রান করে হার্দিক ফিরে গেলেও ভারতের জয় নিশ্চিত করেন বিরাট কোহলি।
ছক্কার মুগ্ধতা
শেষ ২ ওভারে ভারতের তখনও ম্যাচ জিততে বাকি ছিল ৩১ রান। বোলার ছিলেন হ্যারিস রউফ। যিনি তার আগে পর্যন্ত বল হাতে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন।
১৯তম ওভারের শেষ দুই বলে রউফকে পরপর দুটি ছক্কা মারেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। সেখান থেকেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ভারতীয় শিবির বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, পাকিস্তানকে হারিয়ে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব।
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে ৪ উইকেটে হারানোর পর কোহলিকে নিয়ে জয়োধ্বনি। সতীর্থ হার্দিক পাণ্ড্য কোহলিকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। বলেই দিলেন যে, রউফকে ওইরকম ছক্কা একমাত্র কোহলিই মারতে পারেন।
বোর্ডের ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হার্দিক বলেছেন, 'আমি খুব খুঁটিয়ে দেখেছি ওই দুটো শট। আমি নিজে প্রচুর ছক্কা মেরেছি। তবে ওই দুটো ভীষণ স্পেশ্যাল। আমরা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। আমি এত ক্রিকেট খেলেছি, এরকম ছক্কা মারিনি। মনে হয় না মিস্টার কোহলি ছাড়া কেউ ওরকম ছক্কা মারতে পারত।'
আরও পড়ুন: কোহলির প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্ত পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটার