হোবার্ট: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ শেষ পর্যন্ত বাতিলই হল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম জিম্বাবোয়ে (SA vs Zim) ম্যাচে আলোচনার কেন্দ্রে রইল একটি ঘটনা। অদ্ভুত নিয়মের জালে পড়ে ৫ রান পেনাল্টি দিতে হল প্রোটিয়াদের।


বৃষ্টির জন্য ম্যাচের ওভার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৯-এ। জিম্বাবোয়ে ইনিংসের নবম ওভারের ঘটনা। বল করছিলেন অনরিক নোখিয়া। তাঁর বল থার্ড ম্যানের ওপর দিয়ে রিভার্স স্কুপ করতে যান জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটার মিল্টন শাম্বা। কিন্তু বল ব্যাটে ঠিকমতো না লেগে চলে যায় ফাইন লেগে। সেখান থেকে বল ধরে উইকেটকিপারের কাছে থ্রো করে দেন ফাইন লেগের ফিল্ডার। রান আউট করার চেষ্টায় তখন এক হাতের গ্লাভস খুলে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি'কক।


ফিল্ডারের থ্রো তাঁর হাতে লেগে মাটিতে পড়ে থাকা গ্লাভসে লাগে। সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ার পেনাল্টি হিসাবে ৫ রান পুরস্কার দেন জিম্বাবোয়েকে। কিন্তু কেন?


নিয়ম হচ্ছে, স্টাম্পের পিছনে রাখা অব্যবহৃত হেলমেটে বল লাগলে যেমন ফিল্ডিং টিমকে ৫ রান পেনাল্টি করা হয়, একইভাবে মাটিতে পড়ে থাকা গ্লাভসে বল লাগলেও ৫ রান পেনাল্টি করা হয়। সেই নিয়মেই ৫ রান যোগ হয়ে জিম্বাবোয়ের স্কোরের সঙ্গে।


ম্যাচ পণ্ড


বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকলেও, শেষ পর্যন্ত ভার-পাকিস্তান ম্যাচ পুরোটাই খেলা হয়েছিল। কিন্তু মেলবোর্ন রক্ষা করলেও, হোবার্টে বাদ সাধল প্রকৃতি। কপাল পুড়ল দক্ষিণ আফ্রিকার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে কার্যত জেতা ম্যাচ হাতছাড়া হল প্রোটিয়াদের। দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিতে বাধ্য হলেন তেম্বা বাভুমারা।


হোবার্টে বৃষ্টির জন্য টস হয় নির্ধারিত সময় পেরিয়ে। টস জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। কিন্তু টস ও দুই দলের জাতীয় সঙ্গীত হওয়ার পর ফের বৃষ্টি নামে। পরে ম্যাচে ওভার সংখ্যা কমিয়ে ৯ ওভারের করা হয়। প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে তোলে ৭৯/৫। ১৮ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন ওয়েসলি মাধেভেরে। দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের মধ্যে ২০ রানে ২ উইকেট নেন লুনগি এনগিডি। অনরিক নোকিয়া ও ওয়েন পার্নেল একটি করে উইকেট নেন।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন কুইন্টন ডি'কক। প্রথম ওভারেই চারটি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা-সহ ২৩ রান তোলেন তিনি। তবে পরের ওভারে ১ বল হওয়ার পর ফের বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ রাখতে হয়। ম্যাচ যখন শুরু হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ৭ ওভারে ৬৪ রান। হাল্কা বৃষ্টির মধ্যেও ম্যাচের ফয়সালা যাতে হয়, সেই চেষ্টায় খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন দুই আম্পায়ার। যদিও জিম্বাবোয়ে শিবির অসন্তোষ প্রকাশ করে। তাদের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ভেজা ও পিচ্ছিল মাঠে চোট পেয়েছেন বলে অভিযোগ জানাতে থাকেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত ৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান যখন ৫১/০, বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ায় খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। ১৮ বলে ৪৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন ডিকক। জয়ের থেকে মাত্র ১৩ রান আগে থেমে যেতে বাধ্য হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।


আরও পড়ুন: কোহলির প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্ত পাকিস্তানের মহিলা ক্রিকেটার