সিডনি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েছেন। নিজে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন। তবুও একটা বিতর্ক তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ক্রমাগতই। আর তা হল ফেক ফিল্ডিং ইস্য়ু। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পক্ষ থেকে নুরুল হাসান বিরাটের বিরুদ্ধে ফেক ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন।এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। বিভিন্ন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ভিন্নমত জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য ৫ রান পেনাল্টি প্রাপ্য তাদের। 


আইসিসির নিয়ম


আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আইসিসির ৪১.৫ ধারায় বলা হয়েছে যে, ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দিলে বা মনঃসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করলে সেক্ষেত্রে মাঠের অনফিল্ড আম্পায়াররা  যদি তার গুরুত্ব বুঝতে পারে, সেক্ষেত্রে বিপক্ষ দলকে ৫ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন।


২০১৭ সালে আইসিসির নতুন এই নিয়ম জারি হওয়ার পর প্রথমবার ফেক ফিল্ডিং করেছিলেন মার্নাস লাবুশেন। জেএলটি ওয়ান ডে কাপে কুইন্সল্যান্ড বুলসের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচেই ফেক ফিল্ডিং করেন তিনি। 


বিরাটের ক্ষেত্রে কী হয়েছিল?


নিয়ম অনুযায়ী অনফিল্ড আম্পায়াররা যদি ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারতেন, তবে হয়ত ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে পাঁচ রান পেনাল্টি দিতেও পারতেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে কেউ প্রতিবাদ জানাননি এই ঘটনার। আর আম্পায়রদের নজরও এড়িয়ে যায় বিষয়টি থেকে। ফলে এখানে বিরাটকে ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। 


কোহলির রেকর্ড


বুধবার একটি কীর্তি গড়ে ফেললেন কোহলি। তিনিই হলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। বিরাট ভেঙে দিলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মাহেলা জয়বর্ধনের রেকর্ড। বাইশ গজে যেন পুনর্জন্ম হয়েছে তাঁর। ব্যাটে রানের ফুলঝুরি। পাকিস্তানের পর নেদারল্য়ান্ডসের বিরুদ্ধেও করেছেন ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনি। ক্রিস গেলকে পেরিয়ে গিয়েছিলেন আগেই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩৩ ম্যাচে ৯৬৫ রান রয়েছে গেলের। 


তালিকার শীর্ষে ছিলেন জয়বর্ধনে। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ক্রিকেটারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৩১ ম্যাচে ১০১৬ রান রয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোহলির সর্বকালের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হওয়াটা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বুধবারই সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন কোহলি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোহলির ঝুলিতে ১০৩৩ রান হয়ে গিয়েছে। এবং সেটা অনেক কম ম্যাচ খেলে। মাত্র ২৫ ম্যাচে প্রায় নব্বইয়ের কাছাকাছি গড় রেখে এই রান করেছেন কোহলি।