পারথ: মেলবোর্নে আয়ার্ল্যান্ডের কাছে ইংল্যান্ডের হারের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফের অঘটন। এবার পাকিস্তানকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১ রানে হারিয়ে দিল জিম্বাবোয়ে। 


পারথে ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে ঘুণাক্ষরেও কেউ ভাবেননি যে, অঘটন অপেক্ষা করে রয়েছে। বরং প্রথমে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে ১৩০/৮ তোলার পর পাকিস্তানের জয়ের ব্যাপারে সকলেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।


কিন্তু অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন জিম্বাবোয়ের ক্রিকেটারেরা। শেষ বল পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেন। স্নায়ুর চাপ সামলে ম্যাচও বার করে নিলেন তাঁরা।


পারথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। জিম্বাবোয়ের ওপেনাররা শুরুটা করেছিলেন সতর্কভাবে। আরভিন নিজে ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১৯ বলে ১৯ রান করেন। ওয়েশলি মাধেভেরে ১৩ বলে ১৭ রান করে আউট হন। ৫ ওভারে জিম্বাবোয়ের স্কোর ছিল ৪২/১।


কিন্তু তারপরই ধাক্কা দেন পাক বোলাররা। পরপর ফিরে যান মিল্টন শুম্বা (৮ রান), সিকন্দর রাজা (৯ রান)। তবে ব্যাট হাতে পাল্টা লড়াই করেন সিন উইলিয়ামস। ২৮ বলে ৩১ রান করে তিনিই জিম্বাবোয়ের সর্বোচ্চ স্কোরার। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ব্র্যাড ইভান্স ১৫ বলে ১৯ রান করেন। পাক বোলারদের মধ্যে মহম্মদ ওয়াসিম ২৪ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন। ২৩ রানে ৩ উইকেট শাদাব খানের।


রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের ব্যাটিং মূলত দাঁড়িয়ে থাকে দুই ওপেনারের ওপর। বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান সব ম্যাচেই দলকে টানেন। যা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছেন পাক প্রাক্তনীরাও। দুই ওপেনারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাই এদিন ভোগাল পাকিস্তানকে। বাবর ৪ ও রিজওয়ান ১৪ রান করে ফেরেন। এরপর শান মাসুদ (৩৮ বলে ৪৪ রান) ছাড়া আর কেউই বলার মতো কিছু করেননি। সিকন্দর রাজা, ব্র্যাড ইভান্স, ব্লেসিং মুজারাবানিদের দাপটে পাকিস্তান ৯৪/৬ হয়ে যায়।


তবে নাটকের তখনও বাকি ছিল। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১১ রান। বোলার ব্র্যাড ইভান্স। তাঁর প্রথম বলেই তিন রান নেন মহম্মদ নওয়াজ। পরের বলে বাউন্ডারি মারেন মহম্মদ ওয়াসিম। ২ বলে ৭ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান এবং ম্যাচ জিততে ৪ বলে আর ৪ রান চাই, এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেখান থেকেই দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ইভান্সের। পরের বলে ১ রান দেন। তার পরের বল ডট করেন। পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান মহম্মদ নওয়াজ। শেষ বলে ম্যাচ জিততে দরকার ছিল তিন রান। দৌড়ে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান শাহিন শাহ আফ্রিদি। মাত্র ১ রানে ম্যাচ জেতে জিম্বাবোয়ে।


আরও পড়ুন: ভাঙল যুবরাজের রেকর্ড, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নতুন কীর্তি রোহিতের