ঢাকা : আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত মাঠেই মেজাজ হারিয়ে 'কটু কথা' বলার জের, জরিমানার মুখে পড়তে হল বাংলাদেশের ক্রিকেটার তামিম ইকবালকে। বাংলাদেশের অধিনায়কের ম্যাচ ফি-র ১৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আইসিসি কোড অফ কনডাক্টের লেভেল ওয়ান অফেন্স হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে তামিমের এই আচরণ। গত ২৪ মাসের মধ্যে এরকম ঘটনা তিনি প্রথমবার ঘটনাতে এক ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তৃতীয় একদিনের ম্যাচ চলাকালীন। বাংলাদেশের ইনিংসের দশম ওভারে তামিম ইকবালকে কট বিহাউন্ড উইকেট দেন অন ফিল্ড আম্পায়ার। যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ওপেনার। থার্ড আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত যাওয়ার পরই গোল বাঁধে। স্লো-মোশনে ঘটনাক্রম খতিয়ে দেখেও ঠিক কী হয়েছিল তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়নি।
আসলে যে সময় তামিমের ব্যাট সজোরে মাটিতে আঘাত করে, সেই সময়ই বলটি ব্যাটের কোণা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। তাই বারবার রিপ্লে দেখলেও পরিষ্কার বোঝা যায়নি বলটি আদৌ তামিমের ব্যাটে লেগেই উইকেটের পিছনে গিয়েছে কি না। গোটা বিষয়টায় ধন্দ থাকায় অন ফিল্ড আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন থার্ড আম্পায়ার। আর তার পরেই রাগে ফেটে পড়েন তামিম।
অন ফিল্ড স্পিকারে ধরা পড়ে বিরক্ত তামিম মাঠেই 'কটূ কথা' ছুঁড়ে দিচ্ছেন। পরে ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ জানান, আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালীন মাঠেই অভব্য আচরণ করেছেন তামিম, তিনি পরে নিজের দোষও স্বীকার করে নিয়েছেন। যার ফলে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক নিয়ামক সংস্থার (আইসিসি) আর্টিকেল ২.৩ অনুসারে কোড অফ কনডাক্ট ভঙ্গ করেছেন উনি।
শাস্তি মাথা পেতে নিলেও তামিম বলেছেন, 'প্রচণ্ড বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত ছিলাম বল ব্যাটে লাগেনি। দুর্ভাগ্যবশত অন ফিল্ড আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। কারণ বিষয়টি এমনই ছিল যে উনি আউট না দিলে সেক্ষেত্রে বিপক্ষ রিভিউ নিলে সিদ্ধান্তটা আমাদের পক্ষে যেত।'
তামিমের আউট হওয়া ও গোটা বিতর্কের প্রভাব অবশ্য বাংলাদেশের রান তাড়ায় পড়েনি। ৯৭ রানে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যেই তারা শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজও পকেটে পুরে ফেলেছে।