মোহালি:#পার্থিব পটেলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে চলতি সিরিজের তৃতীয় টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয়  ১০৩ রান মাত্র ২০.২ ওভারেই তুলে ফেলল ভারত। ইংল্যান্ড হারল আট উইকেটে। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ভারত ২-০ এগিয়ে গেল। শুরুতেই মুরলী বিজয়  ফিরে গেলেও জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে কোনও অসুবিধার মুখে পড়তে হল না ভারতকে। চেতেশ্বর পূজারা দলের ৮৮ রানের মাথায় ২৫ রান করে ফিরে যান। তাঁকে আউট করেন রশিদ।




৮ বছর পর টেস্ট খেলতে নামা পার্থিব ৫৪ বলে  ৬৭ রানে অপরাজিত থাকেন। কোহলি অপরাজিত ৬ রান। রাজকোট টেস্ট ড্র হওয়ার পর বিশাখাপত্তনম ও মোহালি টেস্ট জিতল কোহলি বাহিনী। ২৩ বছর পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর দুটি টেস্টে জিতল ভারত।

গতকালের ৪ উইকেটে ৭৮ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। জো রুট তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ১৭৯ বলে ৭৮ রান করে  জাদেজার বলে তিনি আউট হন।  ওপেনার হামিদ আঙুলের চোটের জন্য গতকাল ব্যাট করতে পারেননি। আজ ব্যাট্টি আউট হওয়ার পর তিনি ব্যাটিং করতে নামেন। আঙুলে চোট নিয়েও অসাধারণ ধৈর্য্যশীল ও সংযমী ইনিংস খেলেন এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণ ব্যাটসম্যান। ১৫৬ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। ওকসের বলে কোন রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুরলী বিজয়। কিন্তু তারপর থেকে দ্রুত রান তুলে জয়ের লক্ষ্যে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান পার্থিব পটেল ও চেতেশ্বর পূজারা জুটি।

 চতুর্থ দিনে মধ্যাহ্নভোজনের সময় ১৫৬ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে শোচনীয় ব্যাটিং বিপর্যয় হয় তাদের। লাঞ্চের পর খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাত্র ২৩৬ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস।


এদিন রবীন্দ্র জাদেজা সবচেয়ে সফল ভারতীয় বোলারদের মধ্যে। ৮১ রানে তিনটি উইকেট ঝুলিতে পোরেন তিনি। জয়ন্ত যাদবের দখলে ২১ রানে দুটি উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর জো রুটের। তিনি করেন ৭৮ রান। বস্তুত এদিন তাঁকে জাদেজা প্যাভিলিয়নে ফেরাতেই ভারত বড় বাধা কাটিয়ে ফেলে। তিনি ভারতের সামনে বাধার পাহাড় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। রুট ১৭৯টি বল খেলে ৬টি বাউন্ডারি মেরেছেন। তারপর কেউই সামলাতে পারেননি ভারতীয় বোলারদের।


প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ২৮৩ রান। জবাবে ভারতের রান ছিল ৪১৭। রবীন্দ্র জাদেজার ৯০, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৭২ রানের দৌলতে বড় ইনিংস গড়ে কুক-বাহিনীকে চাপে ফেলে দিয়েছিল বিরাটের দল।


অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা রবীন্দ্র জাদেজা।