কলকাতা: ওডিশা এফসি-র বিরুদ্ধে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ২-২-এ ড্র করতে পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে মোহনবাগান শিবির। বুধবার ঘরের মাঠে ওডিশার কাছে হারের মুখে চলে এসেছিল সবুজ-মেরুন বাহিনী। কিন্তু সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ড্র করে তারা।


প্রথমার্ধে ৩১ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে ও স্টপেজ টাইমের তৃতীয় মিনিটে গোল করে ওডিশাকে এগিয়ে দেন মরক্কোর মিডফিল্ডার আহমেদ জাহু। বিরতির পর ৫৮ মিনিটের মাথায় ও ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে দুটি গোলই শোধ করে দেন আলবানিয়ান ফরোয়ার্ড সাদিকু। শেষ পর্যন্ত না হারার মানসিকতাই এ দিন তাদের এক পয়েন্ট এনে দেয়।


এদিন চোট পেয়ে বিরতির পর আর খেলতে পারেননি সবুজ-মেরুন শিবিরের দুই নির্ভরযোগ্য তারকা সহাল আব্দুল সামাদ ও অনিরুদ্ধ থাপা। ম্যাচের আগেই ওয়ার্ম-আপ করার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান হুগো বুমৌস। থাপার জায়গায় নামা গ্ল্যান মার্টিন্সও চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। এই অবস্থার মধ্যেও শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই ছাড়েনি মোহনবাগান এসজি। তারা দ্বিতীয়ার্ধে হার না মানার সংকল্প বজায় রাখে।


এমনিতেই তাদের আশিক, আনোয়ার, মনবীর, পেট্রাটস চোট পেয়ে মাঠের বাইরে। এ বার সহাল, থাপা, মার্টিন্সও সেই তালিকায় নাম লেখালে পরবর্তী ম্যাচে কাদের নামাবেন, তা নিয়ে অনেক ভাবতে হবে কোচ হুয়ান ফেরান্দোকে।


ম্যাচে বাগানের জোড়া গোলের নায়ক সাদিকু বলেন, ''আমরা দুগোলে পিছিয়ে থেকে ড্রেসিং রুমে ফিরে যাই। কোচ আমাদের বলেন, বিরতির পর প্রত্যেককে একশো শতাংশ দিতে হবে। গোলকিপার কোচ বলেন, প্রতিপক্ষ এ বার সময় নষ্ট করার চেষ্টা করবে। আমরা যদি পাঁচ মিনিটও বেশি পাই শেষে, আমি জানি, আমরা তাতেও গোল করতে পারব। আমার খুব ভাল লাগছে। সমর্থকেরা আমার কাছ থেকে যা চেয়েছিলেন, তা দিতে পারায়। তবে আমাদের দলে চোট পাওয়া খেলোয়াড়ের সংখ্যা এত বেশি, তা চিন্তার বিষয়। তবে কোচ যে রকম বললেন, আমাদের প্রত্যেককে পরষ্পরের প্রতি আস্থা রাখতে হবে।''  


নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে সাদিকু বলেন, ''প্রতি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। কখনও নিজে গোল করি, কখনও গোলের পাস দিই। যখনই গোল করতে পারি, খুশি হই। দলের জন্য একশো শতাংশ দিতে পেরে ভাল লাগছে। দলের জন্য এক পয়েন্ট আনাটাই আমার কাছে সেরা প্রাপ্তি। আলাদা করে কোনও গোলের কথা বলব না।''                                                                                                                                                                    --- তথ্য় সংগ্রহ: আইএসএল