মুম্বই : বিরল রেকর্ড। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই সাফল্যের শীর্ষে। অটিজম স্পেকট্রাম ডিসওর্ডারের সমস্যাকে জয় করে ইতিহাসের পাতায় নাম তুললেন জিয়া রাই। কনিষ্ঠ ও দ্রুতগামী প্যারা সুইমার হিসাবে সাঁতরে পার করলেন ইংলিশ চ্যানেল। ৩৪ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নিলেন ১৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট।
ইংলিশ চ্যানেলে সাঁতার প্রতিযোগিতার দেড়শো বছরের ইতিহাসে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসওর্ডারের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এই মাইলফলক ছোঁয়া প্রথম মেয়ে। বাবা মদন রাই ভারতীয় নৌবাহিনীতে কর্মরত। ইংল্যান্ডের অ্যাবোটস ক্লিফ থেকে ২৮ জুলাই যাত্রা শুরু করেন জিয়া। ২৯ তারিখে শেষ করেন ফ্রান্সের টে ডে লা কুর্তে দুনে । প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো সূত্রে এমনই জানা গেছে।
মস্তিষ্কের গঠন সংক্রান্ত জটিল রোগ অটিজম নিয়ে সচেতনতা গড়ার লক্ষ্যে এই সাঁতারকে উৎসর্গ করেন জিয়া। তাঁর এই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসাবে ২১ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত সময়কে ইংলিশ চ্যানেল সি সুইমিংয়ে অটিজম সতর্ককতার জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।
এই চ্যানেল তার মারাত্মক স্রোতের জন্য পরিচিত। জুলাইয়ে জলের তাপমাত্রা রয়েছে ১৮০ সি এবং এর জেরে হাইপোথারমিয়া হতে পারে। এর পাশাপাশি জেলি ফিশের এবং ধ্বংসস্তূপের সমস্যা আছে। এছাড়া বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জাহাজের যাত্রাপথও এই চ্যানেল। যেখান দিয়ে নিয়মিত ৬০০ ট্যাঙ্কার, ফেরি ও অন্যান্য যান যাতায়াত করে। ঘন ঘন এখানকার আবহাওয়ার পরিবর্তন হয় । তাই, আগেভাগে সাঁতারের পরিকল্পনা দুষ্কর হয়ে ওঠে।
চ্যানেল সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের নিয়ম অনুযায়ী, জল ছাড়তে বা পাইলট বোট স্পর্শ করতে বা সঙ্গ দেওয়া কাউকে স্পর্শ করতে পারবেন না সাঁতারু। লম্বা একটা লাঠি ব্যবহার করে খাবার ও জল সরবরাহ করেন বোটের ক্রুৃরা।
প্রসঙ্গত, ইংলিশ চ্যানেল সাঁতার কেটে পার করার থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ মাউন্ট এভারেস্টে চড়েছেন। গত ১০০ বছরে, মাত্র ১৭০০ জন ইংলিশ চ্যানেল সাঁতার কেটে পার হয়েছেন। উল্লেখ্য, মাউন্ট এভারেস্টে চড়ার স্বপ্ন অনেকেরই মনে থাকে। সর্বোচ্চ এই শৃঙ্গ জয় করতে অনেক প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তা সত্ত্বেও, অনেকেই একাজে পিছপা হন না। অভিনব এই কৃতিত্ব অর্জন করা স্বভাবতই কৃতিত্বের দাবি রাখে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।