মুম্বই: লোকসভা অধিবেশনে (Loksabha) কথা বলতে গিয়ে মোদি সরকারকে একহাত নিলেন কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ এদিন অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক অ্যাথলিটকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মোদি সরকারের উদ্দেশে বার্তা দেন যে আগামী অলিম্পিক্সের (Paris Olympics 2024) প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করা উচিত। শুধু ক্রিকেট নয়, বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রেই যে প্লেয়ারদের সমানভাবে উন্নতির পথে এগিয়ে আসে সরকার, সেই আর্জিই জানিয়েছেন। এছাড়াও কুস্তিগীরদের আন্দোলনে মোদি সরকারের কোনও পদক্ষেপ না নেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিরাশির বিশ্বজয়ী।


এদিন কীর্তি আজাদ বলেন, ''একজন খেলোয়াড়ের কোন জাত বা ধর্ম নেই। আর তাই রাজনৈতিক দলগুলো, খেলাধুলাকে এতটা গুরুত্ব দেয় না যেটা তাঁদের প্রাপ্য। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই জীবনের সর্বস্তরের মানুষকে সমর্থন করার জন্য এবং তাঁদের সাহায্য করার জন্য।'' এরপরই তিনি বলেন, ''আজ আমাদের ক্রীড়াবিদদের অবস্থা এখনও শোচনীয়। ক্রিকেটাররা এখন তাও একটু ভাল পরিস্থিতিতে থাকেন। কিন্তু বাকি খেলার দুনিয়ায় যাঁরা আছেন, তাঁরা? এখনও অনেককে রেলের জেনারেল কম্পারমেন্টে যাতায়াত করতে হয়। সঠিক পরিকাঠামো পায় না তাঁরা। খাবারের কোনও ঠিক নেই। আপনি যদি অলিম্পিক্সের জন্য প্লেয়ারদের নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে চান, তবে ২০২৮ এর অলিম্পিক্সের জন্য এখন থেকেই ভাবনা চিন্তা শুরু করুন। এমনটা না যে অলিম্পিক্স খেলতে চলে যাবে প্লেয়াররা, তার পর।''



উল্লেখ্য, বছরের শুরুতে জানুয়ারিতে নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসেছিলন জাতীয় কুস্তিগীরেরা। অভিযোগ তুলেছিলেন, ভারতের মহিলা কুস্তিগীরদের যৌন হেনস্থা করেছেন কুস্তি সংস্থার প্রধান ব্রিজভূষণ। তাঁর অপসারণ ও কুস্তি সংস্থায় নতুন নির্বাচনের দাবি তুলেছিলেন বজরঙ্গ পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগতরা। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলন ব্রিজভূষণ। যদিও পরে কুস্তি ফেডারেশনকেই বরখাস্ত করেছিল চাপের মুখে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক। কিন্তু সেই সময় চুপ ছিলেন মোদি সরকার। তা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিলেন কীর্তি আজাদ। 

 

উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান - দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছিলেন তৃণমূলের কীর্তি আজাদ। দিলীপ ঘোষকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। দিলীপ ঘোষ নতুন আসনে হেরেছিলেন আবার মেদিনীপুর আসনও ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে তৃণমূলের কীর্তি আজাদ জয় পেয়েছিলেন  ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৬৪ ভোটে। ২০১৯ এর মেদিনীপুরের জয়ী প্রার্থীকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে এনে অ্যাসিড টেস্টের মুখ ফেলেছিল বিজেপি। কিন্তু সেখানে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিরাশির বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটার।