নয়াদিল্লি: যে কোনও ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হয় টসের মধ্যে দিয়ে। ১৮৭৭ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্ট থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। যে দেশে খেলা হয়, সেই দলের অধিনায়ক টস করেন এবং সফরকারী দলের অধিনায়ক হেড বা টেল বলেন। কিন্তু এবার হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চলেছে টস। খেলায় সমতা আনার লক্ষ্যে সফরকারী দলকে প্রথমে ব্যাটিং বা বোলিং করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ মাসের ২৮ ও ২৯ তারিখ মুম্বইয়ে আইসিসি ক্রিকেট কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। এই কমিটির সদস্য অনিল কুম্বলে, অ্যান্ড্রু স্ট্রস, মাহেলা জয়বর্ধনে, রাহুল দ্রাবিড়, টিম মে, ডেভিড হোয়াইট, রিচার্ড কেটেলবরো, রঞ্জন মদুহলে, শন পোলক ও ক্লেয়ার কনর। তাঁরা একমত হলে বাতিল হয়ে যেতে পারে টস।

২০১৬ সালে ইংল্যান্ডে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে টস। ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডের দাবি, এর ফলে যেমন আয়োজক দল বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে না, তেমনই দীর্ঘক্ষণ খেলাও হচ্ছে। কাউন্টির মতো ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটেও টস বাতিল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই প্রস্তাব কার্যকর হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে উঠে যেতে পারে টস।

মাইকেল হোল্ডিং, স্টিভ ও-রা টসের বিরোধী। তাঁদের মতে, এর ফলে আয়োজক দল পছন্দমতো পিচ তৈরি করে। এতে সফরকারী দল অসুবিধায় পড়ে। টস উঠে গেলে সফরকারী দল পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রথমে ব্যাটিং বা বোলিং করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এতে দু’দলের মধ্যে সমান লড়াই হবে।