নয়াদিল্লি: অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী ভারতীয় অ্যাথলিট নীরজ চোপড়া ২ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। শুক্রবার হরিয়ানা সরকারের তরফে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকতে পারেননি নীরজ। ডাক্তারের পরামর্শ মতো তাঁর করোনা টেস্ট হয়েছিল। তবে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
এক সাক্ষাৎকারে নীরজের পরিচিত একজন বলেন, 'গতকালও তাঁর ১০৩ ডিগ্রি ছিল শরীরের তাপমাত্রা। কিন্তু এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন নীরজ। ওর করোনা টেস্ট হয়েছিল। তার রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। ডাক্তাররা তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। অলিম্পিক্সের সময় টানা সূচি ছিল নীরজের। তার জন্যই শরীর অসুস্থ হয়ে গিয়েছে।'
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে প্রথমবার ভারতের ঝুলিতে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে পদক এসেছিল। এমনকী প্রথম ভারতীয় হিসেবেও ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডে অলিম্পিক্সের মঞ্চে সোনা জিতেছেন নীরজ।
টোকিও অলিম্পিক্সে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জেতার সুবাদে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বেশ খানিকটা উন্নতি হয়েছে নীরজ চোপড়ার। তিনি ১৪ ধাপ উঠে এখন দ্বিতীয় স্থানে। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স সংস্থার প্রকাশ করা সাম্প্রতিক র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, এখন নীরজের স্কোর ১,৩১৫। এক নম্বরে থাকা জার্মানির অ্যাথলিট জোহানেস ভেটারের স্কোর ১,৩৯৬। নীরজ যদি বর্তমান পারফরম্যান্স বজায় রাখতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁর পক্ষে এক নম্বর হওয়া খুব একটা কঠিন হবে না।
এবারের অলিম্পিক্সে ৮৭.৫৮ মিটার থ্রো করে সোনা পেয়েছেন নীরজ। মাত্র ২৩ বছর বয়সেই হরিয়ানার এই অ্যাথলিট দেশবাসীর স্বপ্নপূরণ করেছেন। তাঁর হাত ধরে স্বাধীন ভারতে এই প্রথম অ্যাথলেটিক্স থেকে পদক এল। ৭ অগাস্ট টোকিওয় নীরজের অসাধারণ থ্রো অলিম্পিক্সে ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে ১০টি অসামান্য মুহূর্তের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে।
ফাইনালে নীরজের প্রথম থ্রো ছিল ৮৭.০৩ মিটারের। দ্বিতীয় থ্রোয়ে তিনি ৮৭.৫৮ মিটার দূরে জ্যাভলিন পৌঁছে দেন। এই থ্রো-ই সোনা এনে দিল। পরের থ্রোগুলিতে দূরত্ব বাড়েনি। তৃতীয় থ্রো ছিল ৭৯.৭৯ মিটারের। তবে তাতে নীরজের সোনা জিততে কোনও সমস্যা হয়নি।