নয়াদিল্লি : কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভুল সংশোধন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ভেরিফায়েড ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ব্লু টিক ফেরালো ট্যুইটার। এদিন দুপুরে হঠাৎই মাহির অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক তুলে নিয়েছিল মাইক্রোব্লগিং সংস্থা তথা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ট্যুইটার। যদিও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই তা ফেরানো হয়েছে। ঠিক কী কারণে ব্লু টিক সরিয়ে নেওয়া ও পরে ফেরানো তা নিয়ে সরকারিভাবে ট্যুইটারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, 'ট্যুইটারের মুখপাত্রের দাবি দীর্ঘদিন ধরে অ্যাকাউন্টটি ইন-অ্যাকটিভ।' দীর্ঘদিন কোনও অ্যাকটিভিটি না থাকার জেরেই কি তাহলে মেন ইন ব্লুর প্রাক্তন অধিনায়কের ব্লু টিক তুলে নেওয়ার 'ভুল' ট্যুইটারের। আমেরিকান সংস্থা অবশ্য কিছু জানায়নি।
এমনিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনিতেই খুব একটা 'অ্যাকটিভ' নন মাহি। ২০১৮ সাল থেকেই ক্রমশ ছেদ পড়েছে তাঁর ট্যুইট-অ্যাকটিভিটিতেও। ২০২১-এর ৮ জানুয়ারি শেষবার কোনও ট্যুইট করেছিলেন ধোনি। গত বছর ১৫ অগাস্টের দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণার মঞ্চ হিসেবে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুককে বেছে নিলেও ট্যুইটারে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে সেই খোঁজ দেননি ক্যাপ্টেন কুল।
মাহির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক সরে যাওয়ায় অবশ্য মাইক্রোব্লগিং সংস্থার ওপর বেশ চটেছেন তাঁর ভক্তরা। তবে এটাই প্রথম কোনও ঘটনা নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার 'ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট' গুলির ব্লু টিক সরিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ট্যুইটার। ভারতের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, আরএসএসের একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতার ক্ষেত্রেও ঘটেছিল এমন ঘটনা। যদিও অল্প সময় ব্যবধানের মধ্যে ব্লু-টিকের 'ভুল' শুধরে নিয়েছিল ট্যুইটার। মাইক্রোব্লগিং সংস্থা তথা সোশ্যাল সাইট ট্যুইটারের নিয়ম অনুযায়ী, ব্লু টিক তথা ভেরিফায়েড ব্যাজ তারা তুলে নিতে পারে যদি কোনও অ্যাকাউন্ট দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় থাকে। যদিও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ধোনির মতো ব্যক্তিত্বের অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেও কি এমনটা হতে পারে, যেখানে ক্যাপ্টেন কুলের ফলোয়ার্স সংখ্যা ৮.২ মিলিয়ন।