কাবুল: আফগানিস্তান সরকারের সংবাদমাধ্যম ও তথ্য বিভাগের প্রধান দাওয়া খান মীনাপালকে গুলি করে খুন। আজ অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে। 


তালিবানের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের দায়স্বীকার করা হয়েছে। তালিবানের দাবি, তারাই দাওয়া খান মীনাপালকে খুন করেছে। তালিবানের এক মুখপাত্র জানিয়েছে, ‘দাওয়া খান মীনাপালকে তাঁর কাজের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিশেষ মুজাহিদিন হামলায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’ 


আফগানিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ সাপ্তাহিক প্রার্থনা জানাতে যান দাওয়া খান মীনাপাল। সেখানেই তাঁকে গুলি করে খুন করেছে সন্ত্রাসবাদীরা।


আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের মুখপাত্র মীরওয়াইস স্তানিকজাই জানিয়েছেন, ‘দাওয়া খান মীনাপাল একজন তরুণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি শত্রুদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পর্বতের মতো রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি সবসময় আফগানিস্তান সরকারকে সমর্থন করে গিয়েছেন।’


আফগানিস্তান সরকারের সংবাদমাধ্যম ও তথ্য বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করতেন প্রয়াত দাওয়া খান মীনাপাল। তিনি পাকিস্তান ও তালিবানের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই তাঁকে তালিবানদের হামলার শিকার হতে হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। 


২০১৫ সালে কন্ধহর সরকারের সংবাদমাধ্যম ও তথ্য বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করেন দাওয়া খান মীনাপাল। এরপর ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন তিনি। এরপর তিনি সংবাদমাধ্যম ও তথ্য বিভাগের অধিকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ আফগানিস্তানের জাবুল প্রদেশে। কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।


আফগানিস্তানে বেশ কিছুদিন ধরেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে তালিবানের লড়াই চলছে। এই দেশের একটি বড় অংশ এখন তালিবানের দখলে। আফগান সেনা সেই অঞ্চলগুলি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ সাফল্য পায়নি সেনাবাহিনী। বেশ কয়েকজন সমাজকর্মী, সাংবাদিক, সরকারি আধিকারিক, বিচারপতি, বিখ্যাত ব্যক্তিকে হত্যা করেছে তালিবান।