বেননি: অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে ভারতীয় দল। ম্য়াচ জিততে ভারতের লক্ষ্যমাত্রা ২৪৫। বেননিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিন নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান বোর্ডে তুলে নেয় প্রোটিয়া বাহিনী। দলের হয়ে অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন ড্রে প্রিটোরিয়াস ও রিচার্ড সেলেটসোয়ানে। ভারতের হয়ে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন রাজ লিম্বানি।


টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্য়াচে হারেনি ভারতীয় দল। অন্যদিকে প্রথম ম্য়াচে হার দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল প্রোটিয়া শিবির। দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ২ ওপেনার স্টোক ও ড্রে প্রিটোরিয়াস বেশ ভালই ছন্দে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে প্রোটিয়া শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন দুরন্ত ফর্মে থাকা রাজই। তাঁর ওয়াইড লেংথের একটি বল খোঁচা দিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে যান স্টোক। ১৪ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ডেভিড ট্রিগার খাতা খোলার আগেই রাজের বলে বোল্ড হয়ে যান। এরপর রিচার্ড সেলেটসোয়ানেকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন প্রিটোরিয়াস। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে ৭২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। প্রিটোরিয়াস ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন। ৬টি বাউন্ডারি ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। অন্য়দিকে রিচার্ড ১০০ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। মিডল অর্ডারে অলিভার ২২ রান ও জুয়ান ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। লোয়ার অর্ডারে ট্রিস্টান লুস ১২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। একটা সময় মনে হচ্ছিল যে হয়ত দুশোর গণ্ডি কোনওভাবে পেরবে প্রোটিয়া শিবির। সেখান থেকে লুসের ইনিংসের সৌজন্যে আড়াইশোর কাছাকাছি দলের স্কোর পৌঁছে যায়। 


 






ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রাজ ছাড়া মুশির খান ২টো উইকেট নেন। এছাড়া সাউমি পাণ্ডে ও নমন তিওয়ারি ১টি করে উইকেট নেন। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক পাঁচবার ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই টুর্নামেন্টে। এখন দেখার এবার জিতে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়িয়ে নিতে পারে কি না টিম ইন্ডিয়া।