রটারডাম: উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হতে চলেছে দুই শক্তিধর ইউরোপিয়ান দেশ ক্রোয়েশিয়া এবং স্পেন। একদিকে যেখানে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম খেতাব জয়ের জন্য মাঠে নামবে লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়া, সেখানে গতবারের হতাশা পিছনে ফেলে খেতাব জয়ের আশায় গাভিরা।


ক্রোয়েশিয়া নেশনস লিগের সেমিফাইনালে আয়োজক নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর অতিরিক্ত সময়ে ৪-২ স্কোরলাইনে ম্যাচ জেতে। রটারডামের যে মাঠে সেমিফাইনাল জিতেছিল ক্রোয়েশিয়া, খেতাব জয়ের লক্ষ্যে আবার সেই মাঠেই খেতাব জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবেন মদ্রিচরা। অপরদিকে, স্পেন সেমিফাইনালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিরুদ্ধে ২-১ জয় পান। ৮৮ মিনিটে হোসেলুর গোলে জয় পায় লা রোহা। বছর দু'য়েক আগেও উয়েফা নেশনস লিগের ফাইনালে পৌঁছেছিল স্পেন। কিন্তু সেবার ২-১ স্কোরলাইনে পরাজিত হতে হয়েছিল স্পেন। এবার সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলতে হয়তো বাড়তি উদ্যম নিয়েই মাঠে নামবে লা রোহা।


স্পেন ও ক্রোয়েশিয়া কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক রোমাঞ্চকর ম্যাচ খেলেছে। বছর পাঁচেক আগে উয়েফা নেশনস লিগে স্পেন সকলকে চমকে দিয়ে ক্রোয়েশিয়াকে ৬-০ স্কোরলাইনে জয় পেয়েছিল। তবে ওই বছরই টুর্নামেন্টের ফিরতি লিগে স্পেন ৩-২ স্কোরলাইনে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পরাজিত হয়। ইউরো ২০২০-তে আরও একবার একটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ খেলেন দুই দল। ইউরোতে অতিরিক্ত সময়ে ক্রোয়েশিয়াকে ৫-৩ স্কোরলাইনে হারায় লা রোহা। তাই ইতিহাসের দিকে তাকালে কিন্তু এই ম্যাচে গোল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।


ম্যাচের আগে ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাটকো ডালিচ (Zlatko Dalić) কিন্তু স্পেনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তিনি বলেন, 'আমরা স্পেনের খেলার সঙ্গে বেশ পরিচিত। ওরা পজেশন রেখে খেলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে, ওদের দলে দারুণ ফুটবলার রয়েছে, যাদের টেকনিকাল দক্ষতা দারুণ। ওদের বিরুদ্ধে ইউরো ২০২০-তেও আমরা খেলেছিলাম। অতিরিক্ত সময়ে হারতে হয়েছিল বটে। তবে ওদেরকে কড়া টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের দলে রয়েছে।'


অপরদিকে স্পেন কোচ লুইস ডে লা ফুয়েন্তে (Luis De La Fuente) ক্রোয়েশিয়াকে ইউরোপের অন্যতম সেরা দলের তকমা দেন। তিনি বলেন, 'দুইটো দারুণ দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে। আমরা এবং ক্রোয়েশিয়া ইউরোপের সেরা দুই দল। আমরা নিজেদের দক্ষতা ও শক্তি অনুযায়ীই ম্যাচ খেলব। ম্যাচে কী কী হতে পারে সেইসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলেছি। ৯০ মিনিটের মধ্যেই ম্যাচ জেতাটা আমাদের লক্ষ্য। ওরা কিন্তু অতিরিক্ত সময় খেলতে অভ্যস্ত এবং ফাইনালে অভিজ্ঞতা কিন্তু সবসময়ই লাভদায়ক।'


এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: কোঁকড়ানো চুল ধুয়ে পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম অতি অবশ্যই মেনে চলতে হবে?