চেন্নাই: বিরাট কোহলিকে দলে নেওয়ার জন্য প্রধান নির্বাচকের পদ খোয়ানো নিয়ে দিলীপ বেঙ্গসরকারের অভিযোগ অস্বীকার করলেন বিসিসিআই-এর তৎকালীন সভাপতি এন শ্রীনিবাসন। তাঁর পাল্টা দাবি, বেঙ্গসরকার ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ করছেন। শ্রীনি বলেছেন, ‘২০০৮ সালে একজন খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে দলে নেওয়ার জন্য তাঁকে সরে যেতে হয়েছিল বলে যে অভিযোগ করছেন দিলীপ বেঙ্গসরকার, সেটা সত্যি নয়। কারণ, ওই দুই খেলোয়াড়ই শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় দলে ছিলেন।’


বেঙ্গসরকার অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালে তামিলনাড়ুর ব্যাটসম্যান এস বদ্রিনাথের বদলে বিরাটকে দলে নেওয়ার ফলেই শ্রীনির কোপে পড়ে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরে যেতে হয় তাঁকে। তাঁর আরও দাবি, ভারতের তৎকালীন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ও কোচ গ্যারি কার্স্টেনও বিরাটের বদলে বদ্রিনাথকেই দলে চেয়েছিলেন। বিরাটকে দলে নেওয়ার জন্যই ২০০৮-এর সেপ্টেম্বরে তাঁকে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন বেঙ্গসরকার।

এই অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রীনিবাসন বলেছেন, ‘সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, দিলীপ বেঙ্গসরকার অভিযোগ করেছেন, ২০০৮ সালে একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমি তাঁর সঙ্গে একমত হইনি এবং এর ফলেই তিনি আর প্রধান নির্বাচকের পদে থাকতে পারেননি। কার হয়ে তিনি কথা বলছেন? তাঁর উদ্দেশ্য কী? যাই হোক না কেন, এটা ঠিক নয়। তাঁর নির্বাচক না থাকার পিছনে আমার হাত থাকার অভিযোগ মিথ্যা। এখন এই কথা বলার কারণ কী? আমি কোনওদিন দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করিনি।’

শ্রীনিবাসন আরও বলেছেন, ‘দিলীপ বেঙ্গসরকারের প্রতি আমার কোনও বিদ্বেষ নেই। আমি যে প্রকল্প চালু করেছিলাম, তার সুবিধা তিনিও পেয়েছেন। ১৯৯৪ সালে তাঁর বেনিফিট ম্যাচে এক লক্ষ টাকা দিয়েছিল ইন্ডিয়া সিমেন্টস। ক্রিকেটার হিসেবে তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল। আমি তাঁকে জাতীয় নায়কের মর্যাদা দিয়েছিলাম। তিনি এই ধরনের কথা বলায় আমি দুঃখিত।’