তিরুঅনন্তপুরম: একদিকে মাথার ওপর পাহাড়প্রমাণ চাপ। নক আউটে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখতে জিততেই হবে এরকম পরিস্থিতির সামনে পড়ে যাওয়া। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ মুম্বই। ঘরোয়া ক্রিকেটে যাদের দাপট সর্বজনবিদিত।


জোড়া প্রতিপক্ষকে হারিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফিতে (Vijay Hazare Trophy) নক আউট পর্বে যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখলা বাংলা। রবিবার বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মুম্বইকে ৬৭ রানে হারিয়ে দিল বাংলা। আর সেই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Mazumdar) ও শাহবাজ আমেদ (Shahbaz Ahmed)।


দুজনই সেঞ্চুরি করলেন। অনুষ্টুপ গত মরসুমে বাংলার অধিনায়ক ছিলেন। তবে বিস্ময়করভাবে চলতি মরসুমে তাঁকে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচকেরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, অনুষ্টুপকে নাকি রঞ্জি ট্রফির জন্য তাজা রাখা হচ্ছে। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল বিস্তর। পরে বিজয় হাজারে ট্রফির দলে ফেরোনা হয় অনুষ্টুপকে। তবে প্রথম তিন ম্যাচে তাঁকে খেলানো হয়নি।


রবিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অনুষ্টুপের অভিজ্ঞতায় ভরসা রেখেছিল বাংলা। অনুষ্টুপও সেই মঞ্চে জ্বলে উঠলেন। তিন নম্বরে নেমে ১২২ বলে ১১০ রান করলেন। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ বলে ১০৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শাহবাজ আমেদ। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ২৭ বলে ৩৩ রান করে যান। প্রথমে ব্যাট করে বাংলা তুলেছিল ৭ উইকেটে ৩১৮ রান।


বোর্ডে বড় রান তোলার পরেও অবশ্য পুরোপুরি আশ্বস্ত হওয়া যাচ্ছিল না। কারণ মুম্বই দলে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব, যশস্বী জয়সবালরা। তবে রান পাননি যশস্বী। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে আইপিএলে নজর কাড়া ক্রিকেটার ২৩ বলে ১৯ রান করে ফেরেন। আরমান জাফর তিন নম্বরে নেমে ৪৭ রান করেন। জাতীয় দলের তারকা সূর্য ৪৯ রান করে ফেরেন। তিনি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, আশা ছিল মুম্বইয়ের। কিন্তু প্রদীপ্ত প্রামাণিক তাঁকে ফেরানোর পর মুম্বই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ৪১ ওভারে ২২৩/৮ হয়ে যায়। এরপরই বৃষ্টি নামে। খেলা আর শুরু করা যায়নি।


ভিজেডি পদ্ধতিতে বাংলাকে ৬৭ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয়। বাংলার বোলারদের মধ্যে সেরা প্রদীপ্ত। ৯ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার।


এই জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট হল বাংলার। এলিট গ্রুপ বি থেকে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তামিলনাড়ু শীর্ষে। দুই নম্বরে কর্নাটক। তাদের ঝুলিতেও ১২ পয়েন্ট। বাংলা তিন নম্বরে। এরপর বাংলার ম্যাচ কর্নাটকের বিরুদ্ধে। ১৪ ডিসেম্বরের সেই ম্যাচ বাংলার কাছে মরণ-বাঁচন। জিতলে নক আউটের দরজা খুলে যেতে পারে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের সামনে।