নয়াদিল্লি: বিজয় হাজারে ট্রফিতে (Vijay Hazare Trophy) অভিষেকেই চমক দিলেন নাফিস সিদ্দিকি (Nafis Siddiqui)। মেঘালয়ের পেসার অভিষেক ম্যাচেই নিলেন ৬ উইকেট। জেতালেন মেঘালয়কে। বিজয় হাজারে ট্রফির অভিষেক ম্যাচে এটাই কোনও বোলারের সেরা পরিসংখ্যান। ঘরোয়া ওয়ান ডে টুর্নামেন্টের  অভিষেক ম্যাচে নাফিসের আগে কেউ এত কম রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট পাননি।


জয়পুরে বিজয় হাজারে ট্রফির প্লেট গ্রুপের ম্যাচ ছিল মেঘালয় ও মণিপুরের মধ্যে। ম্যাচে মেঘালয়ের জার্সিতে অভিষেক হয় ২৫ বছরের নাফিসের। প্রথম ম্যাচেই তিনি ১০ ওভার বল করে ৩৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট তুলে নেন।


দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা নেওয়া ছাড়াও নাফিস বিজয় হাজারে ট্রফিতে সর্বকালীন রেকর্ড গড়লেন। ঘরোয়া ওয়ান ডে টুর্নামেন্টে কোনও অভিষেককারী বোলারের এটাই সেরা পারফরম্যান্স। নাফিস ভেঙে দেন হরবিন্দর সিংহের ২৫ বছর আগে গড়া রেকর্ড। ১৯৯৬ সালে দিল্লির বিরুদ্ধে বিজয় হাজারে ট্রফিতে নিজের অভিষেক ম্যাচে হরবিন্দর ৪০ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট নিয়েছিলেন। এতদিন সেটিই ছিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসে কোনও অভিষেককারী বোলারের সেরা পারফরম্যান্স। এদিন ৩৯ রানে ৬ উইকেট নিলেন সিদ্দিকি।


এদিকে, চেন্নাই সুপার কিংসে (Chennai Super Kings) মহেন্দ্র সিংহ ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) নেতৃত্বে তাঁর ব্যাটিং অনেকের নজর কেড়ে নিয়েছে। সেই রুতুরাজ গায়কোয়াড় (Ruturaj Gaikwad) চলতি বিজয় হাজারে ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে। পরপর তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি করলেন তিনি। আর একটি সেঞ্চুরি করলে তিনি স্পর্শ করবেন বিরাট কোহলির কীর্তি।


কোহলির বিজয় হাজারে ট্রফিতে এক মরসুমে চারটি সেঞ্চুরি আছে। একই রেকর্ড রয়েছে দেবদত্ত পড়িক্কল ও পৃথ্বী শয়েরও। এঁদের মধ্যে একমাত্র দেবদত্তের পরপর চার ম্যাচে সেঞ্চুরি করার নজির রয়েছে। পরের ম্যাচে সেঞ্চুরি করতে পারলে সেই রেকর্ড স্পর্শ করবেন চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা।


দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) ছিলেন আইপিএলে কলকাতার দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক। কেকেআরের জার্সিতে বহু স্মরণীয় ইনিংস খেলেছেন। সেই কার্তিকের ব্যাটই শনিবার অন্ধকার নামাল বাংলা শিবিরে। বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলাকে ১৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারাল তামিলনাড়ু। সেই জয়ে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখলেন কার্তিক। পাঁচ নম্বরে নেমে ৯৫ বলে ৮৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন তিনি। কার্তিকের ব্যাটের শাসনে প্রথমে ব্যাট করে তামিলনাড়ু তুলেছিল ২৯৫/৮। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৯.১ ওভারে মাত্র ১৪৯ রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলা।