পুনে:  সচিনের থেকে বিনোদ কাম্বলির প্রতিভা হয়ত  অনেক বেশি ছিল। এমনই মন্তব্য করলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক কপিল দেব। তিনি বলেন, একজন ক্রীড়াবিদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম । তাঁর বক্তব্য, পারিবারের সঠিক ভূমিকা একজন প্রতিভাকে তারকায় পরিণত করতে পারে। এই প্রসঙ্গেই কপিল  ভারতের কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে তাঁরই সহপাঠী তথা সহ খেলোয়াড় বিনোদ কাম্বলির তুলনা টানেন। প্রাক্তন পেসার  বলেন, ‘দুজনে শুরুটা করেছিলেন একসঙ্গেই, দুজনেই সমান প্রতিভাধর, হয়ত, কাম্বলি একটু বেশিই প্রতিভাবান ছিলেন। কিন্তু কাম্বলির প্রেক্ষাপট,  পরিবারের পরিবেশ, বন্ধুবান্ধব সচিনের থেকে একেবারেই আলাদা ছিল। আমরা সবাই জানি, পরে কী হয়েছিল। সচিন ২৪ বছর ধরে খেলেছেন। আর প্রাথমিক সাফল্য পাওয়ার পর তা ধরে রাখতে না পেরে হারিয়ে যান কাম্বলি’।
দেশের এই প্রাক্তন অলরাউন্ডার আরও বলেছেন, ‘প্রতিভা থাকাটা দরকার, কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের তার থেকেও অনেক বেশি কিছু প্রয়োজন। প্রয়োজন বাবা-মা, বন্ধু, ভাই-বোন, স্কুল-কলেজের সমর্থন’।
সফল ক্রীড়াবিদদের বাবা-মায়ের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন ১৯৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। তিনি বলেছেন, ‘বাবা-মায়ের নিজেদের ইচ্ছে সন্তানদের ওপর কোনওভাবেই চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। শিশুদের বেড়ে ওঠার সুযোগ দিতে হবে। বাবা-মায়ের কাজ সন্তানকে মাঠে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু ওরা কী শিখবে, তা সম্পূর্ণ ওদের ব্যাপার। ওরা যা করতে চায় না, তার জন্য জোর করা উচিত নয়’।
কপিল বলেছেন, ১৯৮৩-র বিশ্বকাপ জয় পরবর্তী প্রজন্মকে ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ করেছিল। পরবর্তী প্রজন্ম ওই জয়ের সুফল পেয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন কপিল।