নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সচিন যখন অবসর নেন, তখন ভারতীয় দলে নিজের গুরুত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছিলেন বিরাট কোহলি। সচিনের অবসরের পর ভারতীয় দলের ব্যাটিং স্তম্ভ হয়ে ওঠেন কোহলি। সচিনোত্তর ভারতীয় ক্রিকেটে রান মেশিন কোহলিই। ভারতীয় দলের অধিনায়ক ক্রিকেটের সবকটি ফর্ম্যাটেই দাপটে ব্যাটিং করে সমসাময়িকদের সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। নিত্য নতুন রেকর্ড গড়ছেন কোহলি। সচিনের বেশ কিছু রেকর্ড ইতিমধ্যেই ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। আবার কয়েকটি রেকর্ড ভাঙার দোরগড়ায় রয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ট্রেন্ট ব্রিজে চলতি সিরিজের দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ১০৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে কোহলির এটি ২৩ তম শতরান। সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তাঁর ৫৮ তম সেঞ্চুরি। কোহলির এই সেঞ্চুরির সঙ্গে সচিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫৮ তম সেঞ্চুরি ইনিংসের মিল অবাক করে দেওয়ার মতো।
আজ থেকে ১৭ বছর আগে মাস্টার ব্লাস্টার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ৫৮ তম শতরান করেছিলেন। সচিন ও কোহলির ৫৮ তম শতরানের স্কোর সমান। ১০৩ রান। কোহলি যেখানে ট্রেন্টব্রিজে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছেন, তেমনই সচিন আহমেদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। শুধুমাত্র প্রতিপক্ষ ও স্কোরের মিলই নয়,অবাক করা বিষয় হল ৫৮ তম শতরানের পথে দুজনেরই খেলা বলের সংখ্যাও সমান- ১৯৭ টি বল।
দীর্ঘ ২৪ বছরের কেরিয়ারে সচিন একশ সেঞ্চুরি সহ মোট ৩৪৩৫৭ রান করেছেন। কোহলি তাঁর ১০ বছরের কেরিয়ারে ৫৮ সেঞ্চুরি সহ ১৭৮৭৫ রান করেছেন।
সচিন ও কোহলির মধ্যে তুলনা ক্রিকেট মহলে একটি আকর্ষণীয় আলোচনার বিষয়। কিন্তু একটা কথা সত্যি যে, সচিন ও কোহলির মতো ব্যাটসম্যান আসার ভারতীয় ক্রিকেটই শক্তিশালী হয়েছে। স্বয়ং কোহলি সচিনকে তাঁর আদর্শ বলে মনে করেন। আর সচিনের মতোই বিপক্ষের বোলিং আক্রমণকে তুবড়ে দিয়ে দলকে জয়ী করার কৌশলেই বিশ্বাস করেন কোহলি।