সেঞ্চুরিয়ন: এই ছবি দেখা গিয়েছিল অ্যাশেজে। উইকেটের বেলের স্থান বদল করিয়ে মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে মাইন্ড গেম খেলেছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর আউট হয়ে গিয়েছিলেন অজি তারকা ব্যাটার। সেঞ্চুরিয়নে ব্রডের মতই উইকেটের বেলের স্থান বদল করলেন বিরাট। আর ফল ঠিক তেমনটাই হল যেমনটা হয়েছিল লাবুশেনের সঙ্গে। পরের ওভারেই আউট হয়ে গেলেন ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া ডি জর্জি। 


দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ২৮ তম ওভারে  বিরাট ব্যাটারের স্টাম্পের সামনে যান। সেখানে গিয়ে তিনি  স্টাম্পের উপরে থাকা দুটি বেলের স্থান পরিবর্তন করে দেন।  ঠিক তার পরের ওভারেই ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া ডি জর্জির উইকেট হারায় প্রোটিয়া বাহিনী।  ৬২ বলে ২৮ রান করে বুমরার বলে  জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরে যান এই বাঁহাতি ব্যাটার।  শুধু জর্জির উইকেটই নয়, এর দুটো ওভার পরে একত্রিশতম ওভারে আরও একটি উইকেট পেয়ে যায় ভারতীয় দল।  এবার কীগান পিটারসেনকে বোল্ড করে দেন বুমরা। মাত্র ২ রান করে বোল্ড হয়ে যান তিনি। 


ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে এইডেন মারক্রামের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন এলগার। কিন্তু দ্রুত মারক্রামের উইকেট হারায় প্রোটিয়া বাহিনী। এরপর টোনি ডি জর্জির সঙ্গে ৯৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন এলগার। জর্জি ক্রিজে সেট হয়েও শেষ পর্যন্ত ২৮ রানের ইনিংস খেলে বুমরার বলে জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। রান পাননি কিগান পিটারসেন। ২ রান করে প্লে ডাউন হয়ে যান তিনি। এরপর অভিষেককারী ডেভিড বেডিংহামের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে ১৯৪-তে পৌঁছে দেন। নিজের শেষ টেস্টে সিরিজে ১৪ তম টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেললেন এলগার। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে ১৯টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। 


এর আগে, উল্লেখ্য, কাগিসো রাবাডার আগুনে বোলিংয়ে একসময় ভারতীয় দল ২৪ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল। যশস্বী জয়সওয়াল (১৭), রোহিত শর্মা (৫), শুভমন গিলদের (২) নিয়ে তৈরি ভারতীয় টপ অর্ডার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ারের ৬৮ রানের পার্টনারশিপ ভারতীয় দলের ইনিংসকে কিছুটা স্থিরতা প্রদান করলেও, দুই তারকাকেই যথাক্রমে ৩৮ ও ৩১ রানে ফেরান রাবাডা। 


তবে এখান থেকেই পাল্টা লড়াই শুরু করেন রাহুল। তাঁকে প্রথমে সঙ্গ দেন শার্দুল ঠাকুর, তারপর মহম্মদ সিরাজ। লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়েই দুরন্ত লড়াই চালান রাহুল। আট উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রানে প্রথম দিন শেষ করে ভারতীয় দল।