নয়া দিল্লি : টি২০ বিশ্বকাপের পরেই তিনি ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাবেন। গতকালই এই ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি। আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে নভম্বরের ১৪ তারিখ পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট হতে চলেছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ওমানে। তার পরই টি২০-র অধিনায়কত্বে আর থাকবেন না কোহলি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সিদ্ধান্তের কথা জনিয়েছেন বিরাট। এই সিদ্ধান্তের পিছনে গত কয়েক বছরে বিশাল কাজের চাপের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে এম এস ধোনির পর তাঁর ওপরই বর্তায় টি২০-র সর্বসময়ের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। সেই থেকে দেশকে ৪৫টি টি২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। তার মধ্যে জয় হাসিল হয়েছে ২৭টিতে। 


টি২০ অধিনায়ক হিসেবে কোহলির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ইনিংস দেখে নেওয়া যাক : 


২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫০ বলে ৯৪ নটআউট-হায়দরাবাদ


তিন ম্যাচের সিরিজ চলছিল। তার মধ্যে প্রথম টি২০ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০৮ রানের টার্গেট দেয় ক্যারিবিয়ানরা। গোড়াতেই রোহিত শর্মাকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। তিনে নামেন বিহাট। ৫০ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন কোহলি। যার মধ্যে ছিল ৬টি ছক্কা ও ছটি ৪। আট বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে কোহলি ব্রিগেড।


২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২৯ বলে ৭০ রান- মুম্বই


ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজে তৃতীয় ও ফাইনাল ম্যাচে কোহলি অন্যতম দ্রুত ইনিংস খেলেছিলেন। ভারত প্রথমে ব্যাট করে ২৪০ রান তোলে। কোহলি ৪ নম্বরে ব্যাট করতে আসার আগে কেএল রাহুল ও রোহিত শর্মা ১৩৫ রান তোলেন। ভারতীয় অধিনায়ক ২৯ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। যার মধ্যে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৪টি চার। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৪০।


২০১৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫২ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংস : মোহালি


প্রথম টি২০ ম্যাচে হেরে যাওয়ার পর, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫০ রানের টার্গেট খাড়া হয়। গোড়াতেই আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা। কোহলি ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। ৭২ রানের ইনিংস খেলেন ক্যাপ্টেন। অপরাজিত থাকেন। সেই ম্যাচ সাত উইকেটে জিতে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।