মেলবোর্ন: তিনি বরাবরই আবেগের প্রতিমূর্তি সম। প্রতিপক্ষের উইকেট পড়লে মাঠেই কার্যত গর্জন করে ওঠেন। হতাশায় কখনও মাথায় হাত দেন, কখনও বিপক্ষকে মানসিকভাবে দুমড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু করে দেন বাকযুদ্ধ।
কিন্তু বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) মাঠে কখনও কাঁদতে দেখেছেন? বিরাটের পরম ভক্তদের প্রশ্ন করলেও জবাব পাওয়া যাবে না।
রবিবার মেলবোর্নে মাঠে হাজির লক্ষাধিক সমর্থক সেই বিরল দৃশ্যই দেখলেন। যখন ভারতের জয়ের পর মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন কোহলি।
শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৬ রান। শেষ বলে মহম্মদ নওয়াজের বলে আর অশ্বিন সিঙ্গলস নিতেই পিচের ওপর বসে পড়েন কোহলি। তাঁকে দেখা যায় মুষ্টিবদ্ধ হাত পিচে ঠুকছেন। তারপরই বিরাটের চোখের কোনে দেখা যায় আনন্দাশ্রু। তাঁকে তখন আগলে রাখছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার, হার্দিক পাণ্ড্যরা। হার্দিকের সঙ্গে জুটি বেঁধেই পাক শিবিরে প্রত্যাঘাত করেছিলেন বিরাট। ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে প্রবেশ করেন হার্দিক।
তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে নানারকম জল্পনা। ভারতীয় ক্রিকেট (Team India) মহলে কান পাতুন। অনেকেই বলবেন, দু'জনের সম্পর্কের বরফ গলেনি।
যদিও সব জল্পনা ভেঙে চুরমার করে দিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নিতেই মাঠে দৌড়লেন রোহিত। কোলে তুলে নিলেন ব্যাট হাতে জয়ের নায়ক বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা যা দেখে মন্ত্রমুগ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু হয়ে গেল, দিনের সেরা দৃশ্য।
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই টানটান উত্তেজনা। আর দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যদি মুখোমুখি হয় বিশ্বকাপের মঞ্চে, তাহলে ক্রিকেটারদের মধ্যে বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হবে বলাই বাহুল্য।
ম্য়াচ শেষ হতেই দৌড়ে মাঠে ঢোকেন রোহিত। ডেথ ওভারে যাঁকে ডাগ আউটে উদ্বিগ্ন মুখে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছিল। মাঠে ঢুকে পড়েন হার্দিক পাণ্ড্যও। তবে তাঁকে খানিকটা হতচকিত করে দিয়েই কোহলিকে জড়িয়ে ধরেন রোহিত। তারপর কোলে তুলে নেন কোহলিকে। এক লক্ষের ঠাসা স্টেডিয়াম গর্জন করে ওঠে। কোহলিকে খানিকক্ষণ আগলে রেখে নামান রোহিত। যেন বুঝিয়েই দেন যে, কোহলির ইনিংস তাঁদের অভিযানকে অক্সিজেন দিয়ে গেল।
আরও পড়ুন: এমন মুহূর্ত আর কখনও আসবে না, পাকিস্তান ইনিংসকে ভেঙে বললেন অর্শদীপ