নয়াদিল্লি: শ্রীলঙ্কায় চলতি ত্রিদেশীয় টি ২০ সিরিজে দুরন্ত বোলিং করছেন ভারতীয় স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর। এই টুর্নামেন্টে তিনিই ভারতের আবিষ্কার বলে অনেকেই মনে করছেন। ১৮ বছরের এই স্পিনার এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন। গতকাল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনটি সহ এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচে সাতটি উইকেট পেয়েছেন সুন্দর। শুধু উইকেট নেওয়াই নয়, রান রোখার ক্ষেত্রেও দারুণ সফল তিনি। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে হিসেবী বোলিং করেছেন তিনি। তাঁর ইকোনমি রেট প্রতি ওভারে ৫.৮৭। আরও একটা কথা বলা প্রয়োজন, টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত যে ১৬ ওভার বোলিং তিনি করেছেন তার মধ্যে ১১ ওভারই পাওয়ার প্লে-তে।
গতকাল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর সুন্দর মেনে নিয়েছেন যে, ফিল্ডিংয়ে নিয়ন্ত্রণের সময় বোলিংটা একটা চ্যালেঞ্জ আর এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া এবং তা কাটিয়ে ওঠাই হল সাফল্য।
সুন্দর বলেছেন, এটা সত্যিই একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এজন্যই তো ক্রিকেট খেলা। দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেলে এ ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আর এই চ্যালেঞ্জ জিতলে নিজেকে খুবই সন্তুষ্ট মনে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকার জন্য নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। এক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানদের মনোভাবটা বোঝার বিষয়টা থাকে, বিশেষ করে, পাওয়ার প্লে-তে যখন ব্যাটসম্যান প্রতিটি বলই মারতে চায়।


তাঁর এই সাফল্যের চাবিকাঠি সম্পর্কে সুন্দর বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি প্রচুর লিগের খেলা খেলেছেন। কয়েক বছর আগে একটি টুর্নামেন্টে তিনি পাওয়ার প্লে-তে দুটি এবং ডেথ ওভারে দুটি ওভার বোলিং করতেন। আর সেই অভিজ্ঞতাই তাঁকে ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।
সুন্দর বলেছেন, গত কয়েক বছরে স্পিনাররা সব ফর্ম্যাটেই সফল হয়েছে। এক্ষেত্রে রিস্ট স্পিনারদের মতো অফ স্পিনাররাও কার্যকরী। রিস্ট স্পিনের মতো এক্ষেত্রে দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট অনুযায়ী বোলিং, দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একইসঙ্গে প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম।