নয়াদিল্লি: ক্রিকেটার হিসাবে তিনি ছিলেন নির্বিবাদী চরিত্র। স্লেজিংয়ের মুখেও ঠাণ্ডা, সংযত। বিপক্ষ বোলারদের রক্তচক্ষুও উপেক্ষা করতে পারতেন। কোচ হিসাবে সেই ওয়াসিম জাফরই এমন এক অভিযোগে বিদ্ধ হলেন যে, ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে যার তুলনা মেলা ভার!


 


উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট দলের কোচ হয়েছিলেন জাফর। বিজয় হাজারে ট্রফি শুরুর আগেই তিনি ইস্তফা দেন। এবং এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্মীয় গোঁড়ামি, দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, অনুশীলনে মৌলবীকে ডাকার মতো গুরুতর অভিযোগ আনেন উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট সংস্থার সচিব মহিম ভার্মা। যা সামনে আসার পরই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। বলাবলি শুরু হয় যে, সেই জন্যই কি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪২ বছরের ক্রিকেটার? শেষ পর্যন্ত জাফর নিজেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। বলেন, 'আমি মোটেও অনুশীলনে মৌলবীদের ডাকিনি। দলের অধিনায়ক বেছেছিলাম জয় বিস্তাকে। যদিও কর্তারা ইকবালকে বেছে নেন। আমি ইস্তফা দিয়েছি কারণ দল নির্বাচনে নির্বাচক এবং সংস্থার কর্তারা পক্ষপাতিত্ব করেছেন আর অযোগ্য ক্রিকেটারদের দলে নিয়েছেন। আর দলের ক্রিকেটারেরা শিখ সম্প্রদায়ের একটা স্লোগান দিত। আমি বলেছিলাম এটা না বলে আমরা তো গো উত্তরাখণ্ডও বলতে পারি।'



বিতর্কে জাফরের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারেতর প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা। যাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম অবশ্যই অনিল কুম্বলে। কুম্বলে ট্যুইট করেছেন, 'তোমার সঙ্গেই আছি জাফর। তুমি যা করেছো বেশ করেছো। ক্রিকেটারেরা বরং তোমার অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হবে।' জাফর পাশে পেয়েছেন ইরফান পাঠানকেও। ইরফান ট্যুইট করেছেন, 'খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে তোমাকে এত কারণ দর্শাতে হল।'




বাংলার ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি অভূতপূর্ব এই বিতর্কে জাফরের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। মনোজ ট্যুইট করেছেন, 'আমি উত্তরাখণ্ডের বিজেপি শাসিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতকে হস্তক্ষেপ করার আবেদন করছি। আমাদের জাতীয় নায়ক ওয়াসিম ভাইকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দিল ক্রিকেট সংস্থা, এর বিহিত হওয়া প্রয়োজন।'