নয়াদিল্লি: রাজকোটে রোহিত-ঝড়ে উড়ে গেল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চলতি টি ২০ সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৪৩ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত জয়ের জন্য ১৫৪ রানের লক্ষ্যে চার ওভারের বেশি বাকি থাকতেই পৌঁছে গেল। ভারতের হিটম্যানের ইনিংস সাজানো ছিল ছয়টি বাউন্ডারি ও সমসংখ্যক বিশাল ছক্কা দিয়ে। তাঁর মারমুখী ইনিংস রাজকোটের গ্যালারিতে সমর্থকরা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন। ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছেন রোহিত। ম্যাচের পর দলের লেগ স্পিনার যজুবেন্দ্র চাহলের সঞ্চালনায় চাহল টিভি-তে রোহিত তাঁর এই ছক্কা হাঁকানোর মন্ত্র জানালেন রোহিত।
অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেনের একটি ওভারে পরপর তিনটি ছয় মারেন রোহিত। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন,যখন আমি পরপর তিনটি ছয় মারলাম, তখন ছয়টি বড় শট খেলার চেষ্টা করি। কিন্তু চতুর্থ শট মিস হওয়ার পর আমি সিদ্ধান্ত নিই যে, সিঙ্গল নেব।
রোহিত আরও বলেছেন, বড় ছয় মারতে বড় চেহারা বা পেশীর প্রয়োজন নেই। তুমিও (চাহল) ছয় হাঁকাতে পার। ছয় মারতে গেলে শুধু শক্তিই নয়, টাইমিংটাও ভালো করতে হয়।ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেলতে হয় এবং মাথা সোজা রাখতে হয়। তাই একটা ছক্কা হাঁকাতে গেল অনেকগুলি বিষয় একসঙ্গে সাজাতে হয়।


রাজকোটে একের পর এক ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রোহিত কয়েকটি রেকর্ড গড়েছেন ও ভেঙেছেন। ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে টি ২০ তে সবচেয়ে বেশি ছয় হাঁকানোর রেকর্ড এখন তাঁর দখলে। ১৭ ইনিংসে ৩৭ ছয় মেরে তিনি মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে পিছনে ফেলেছেন। অধিনায়ক হিসেবে ৬২ ইনিংসে ধোনি মেরেছেন ৩৪ টি ওভার বাউন্ডারি। তালিকায় তৃতীয় স্থানে বিরাট কোহলি। ২৬ ইনিংসে তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৩৪।
২০১৯-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ধরনের ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন রোহিতই। তাঁর ছয়ের সংখ্যা ৬৬। ২০১৭ ও ২০১৮-তেও এই কৃতিত্বের মালিক ছিলেন তিনিই। ওই দুই বছর তিনি যথাক্রমে ৬৫ ও ৭৪ ওভারবাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন।