জয়পুর: শুরু থেকেই হার। টানা চার ম্যাচ হেরে বিরাটরা এখন পয়েন্ট তালিকার একেবারে তলানিতে। ভাল খেলেও শেষে গিয়ে আর জেতা হচ্ছে না। মুম্বই ম্যাচেও তাই, রাজস্থানের বিরুদ্ধেও তাই। বিরাট কোহলি, এবিডি, স্টোয়নিসের মতো তারকাখচিত দলের এই হাল দেখে অনেকেই আরসিবি-র নাম পাল্টে ‘হারসিবি’ বলে মশকরা করছেন। অতি বড় বিরাট ফ্যানও আরসিবি-র প্লে অফে যাওয়া নিয়ে সংশয়ে। হলফ করে কেউই বলতে পারছে না, বাকি ১০ ম্যাচে মোড় ঘুরিয়ে দেবে বেঙ্গালুরু। তবে বিরাট কিন্তু আত্মবিশ্বাসী, তাঁরা পারবেন। এই পরিস্থিতি থেকেও খেলা বদলে দেওয়া যায়, মত বিরাটের।

জয়পুরে অজিঙ্কা রাহানের দলের কাছে হেরে বিরাট বলছেন, “শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি। দলের জন্য এটা সত্যিই দুঃখজনক। তবে নিজেদের উপর বিশ্বাস হারালে চলবে না। আমরা খেলা বদলে দিতে পারি। মুম্বইতে আমরা ভাল খেলেছিলাম, এখানেও (জয়পুর) ভালই খেলেছি। তবে আমাদের আরও উন্নতির প্রয়োজন।”

বেঙ্গালুরু দল তারকাখচিত হলেও প্রথম একাদশ নিয়ে যে তারা এখনও দিশাহীন, সে বিষয়ও লুকিয়ে রাখেননি বিরাট। গ্যারি কার্সেটনরা ঠিকই করতে পারছেন না, তাঁদের দলের জন্য সেরা একাদশ কোনটি। কখনও বিরাট ওপেন করছেন, কখনও করছেন না। দলের অনেক বিদেশি রিজার্ভ বেঞ্চে বসে। বোলিংয়েও খেই হারিয়েছে তাঁরা। তারমধ্যে ফিল্ডিংয়েও ধরাশায়ী অবস্থা।

রাজস্থানের বিরুদ্ধেই একাধিক ক্যাচ ফেলেছে বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটাররা। রাহানে এবং স্মিথের মতো ব্যাটসম্যানদের ক্যাচ ফেলার খেসারতও দিতে হয়েছে তাঁদের। বিরাট বলছেন, “দ্বিতীয় ইনিংসে সহজে বাউন্ডারি আসছিল না। কিন্তু আমরা এত ভুল করলাম যার খেসারতও দিতে হল।”

প্রসঙ্গত, দল হারলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন যুজবেন্দ্র চহাল। রয়্যালসদের বিরুদ্ধে ২ উইকেট নিয়ে এখন তিনিই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। পার্পল ক্যাপও উঠেছে তাঁর মাথায়।