সিলেট: এশিয়া সেরা ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে হরমনপ্রীতরা। প্রায় একপেশে লড়াইয়েই লঙ্কা বধ করে টিম ইন্ডিয়া। আর সেই লড়াইটা শুরুতেই সহজ করে দিয়েছিলেন ভারতীয় দলের বোলাররা। রেণুকা ঠাকুর হোক বা রাজেশ্বরী গায়কোয়াড। প্রত্যেকেই নিজেদের ১০০ শতাংশ দিয়েছিলেন এদিন। ম্যাচ শেষে শিরোপা হাতে নিয়ে দলের ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীত কৌর আলাদা করে প্রশংসা করলেন তাঁর বোলারদের। ফিল্ডিংকেও বাহবা দিলেন তিনি।


কী বলছেন হরমনপ্রীত?


ম্যাচ শেষে হরমনপ্রীত বলেন, ''আমাদের নিঃসন্দেহে বোলারদের প্রশংসা করতেই হবে। ওঁরা প্রথম থেকেই আঁটোসাটো বোলিং করেছে। আমাদের আলোচনা হয়েছিল যে কোনওভাবেই লুজ বল দেওয়া যাবে না। আর বাজে রান যাতে খরচ না হয়। সেই মতোই প্ল্যান করেছিলাম। উইকেটের চরিত্র বুঝে ফিল্ডিংও সাজাতে হয়েছিল। ফিল্ডাররাও তাঁদের ১০০ শতাংশ দিয়েছে প্রথম বল থেকেই। সবাই সজাগ ছিল।'' 


ম্যাচের সেরা রেণুকা সিংহ ঠাকুর ফাইনালে ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। শুরুতেই লঙ্কা শিবিরে যে ধাক্কা তিনি দিয়েছিলেন, তা সামাল দিয়ে উঠতে পারেননি চামারিরা। রেণুকা বলেন, ''ফাইনাল এত ভাল পারফর্ম করতে পেরে ভীষণ খুশি। শেষ কয়েকটি ম্যাচে আমি একদমই ভাল বল করতে পারছিলাম না। কোচ ও সাপোর্ট স্টাফরা আমাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছে এই সময়টা। দলের প্রত্যেকে আমার পাশে ছিল।''


নজির হরমনপ্রীতের


হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে খেতাব জিতে নিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। আর শুধু খেতাব জয়ই নয়। নিজেও নতুন রেকর্ড গড়লেন হরমনপ্রীত। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার নজির গড়লেন তিনি। তিনি টপকে গেলেন নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটসকে।


৩৩ বছরের হরমনপ্রীত শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের মঞ্চে নিজের ১৩৭ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটস ১৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন এই ফর্ম্যাটে। তাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে নেমে তাঁকে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন হরমনপ্রীত। এবার কিউয়ি ক্রিকেটারকে টপকে শীর্ষে চলে গেলেন ভারত অধিনায়ক।


উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কাকে আট উইকেটে হারিয়ে রেকর্ড সপ্তমবার এশিয়া কাপ খেতাব জিতে নিল ভারতীয় দল। দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সের শ্রীলঙ্কাকে ৬৫ রানেই আটকে দেওয়ার পর ৬৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। বল হাতে রেণুকা সিংহের দাপটের পর ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুরন্ত অর্ধশতরান করেন ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা।