দোহা: আর্জেন্তিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করার পেছনে যতটা লিওনেল মেসির অবদান রয়েছে, ততটাই অবদান রয়েছে এই মানুষটারও। তিনি কোচ হয়ে আসার পরই পুরো পাল্টে গিয়েছিল নীল সাদা শিবির। ৩৬ বছর পর আর্জেন্তিনাকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে আবেগে ভাসছেন মেসিদের কোচ লিওনেল স্কালোনি। গতকাল ফ্রান্সকে হারানোর পর স্কালোনি বলেন, ''আমি গর্বিত। অন্যান্য দিনের চেয়ে কম রোমাঞ্চিত আমি তবে আজ আমি মুক্ত। এই দল আমাকে গর্বিত করেছে, এই অর্জন তাদের। আমি মানুষকে বলতে চাই উপভোগ করুন, কারণ এটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত।''


লিওনেল মেসিকে নিয়েও মুখ খুললেন স্কালোনি। তিনি বলেন, ''আমার মনে হয় ১০ নম্বর জার্সিটা পরের বিশ্বকাপের জন্য তৈরি রাখা উচিত আমাদের। যদি মেসি খেলেন তো অবশ্যই ওঁ স্কোয়াডে থাকবেন। ওঁর কেরিয়ার কীভাবে এগােবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে ওঁ। যেভাবে গোটা দলকে উদ্বুদ্ধ করেছেন মেসি তা সত্যিই অবিশ্বাস্য। এরকম মানুষ আমি কখনও দেখিনি আগে।''


পরের বিশ্বকাপ হয়ত মেসি খেলবেন না, কিন্তু এখনই যে অবসর নিচ্ছেন না তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন এলএমটেনও। গতকাল ম্যাচের পর মেসি বলেন, ''নিঃসন্দেহে আমি এটাই চেয়েছিলাম যে বিশ্বকাপ জিতে শেষ করতে। এর থেকে বেশি আর কিই বা পেতে পারি আমি। আমি ফুটবল খুব ভালবাসি। কী করতে পারি আর। দেশের জার্সিতে খেলাটা সবসময় উপভোগ করি। এই দলটার সঙ্গে থাকা সবসময় উপভোগ করি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে চাই।''


এই নিয়ে তিনবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশ পরেরবার ফাইনালে হারল। ফ্রান্স ২০১৮-র পর ২০২২ সালে ফাইনালে হারল। ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১৯৯০ সালে ফাইনালে হেরেছিল আর্জেন্তিনা। ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর ১৯৯৮ সালে ফাইনালে হেরেছিল ব্রাজিল।


বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার টাইব্রেকারে জিতল আর্জেন্তিনা। মোট ৬বার টাইব্রেকারে জিতল তারা। ১৯৯৪ সালে ব্রাজিল ও ২০০৬ সালে ইতালির পর ফের কোনও দেশ বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে জিতল।


১৯৭৪ সালে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের পর এই প্রথম কোনও বিশ্বকাপের ফাইনালে যুযুধান ২ দলই পেনাল্টি থেকে গোল করল।


২০২২ বিশ্বকাপে মোট ১৭২ গোল হল। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ। এর আগে ১৯৯৮ ও ২০১৪ বিশ্বকাপে ১৭১টি করে গোল হয়েছিল।