পাল্লেকেল: আগামী পাঁচ মাসের মধ্যেই ২০১৯-এর বিশ্বকাপের জন্য ভারতের কোর টিম বাছাইয়ের কাজ হয়ে যাবে। এই সময়ের মধ্যে রোটেশন পদ্ধতির ভিত্তিতে খেলোয়াড়দের দেখে নেওয়া হবে। মুখ্য নির্বাচক এসএসকে প্রসাদ এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা এমন কয়েকজন খেলোয়াড়কে চিহ্নিত করেছি যাঁরা আগামী ৪-৫ মাস খেলবেন। তাঁদের রোটেশন পদ্ধতিতে খেলানো হবে।
এই কারণেই পেসার মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব এবং দুই স্পিনার আর অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজাকে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একদিনের ম্যাচের সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।
প্রসাদ জানিয়েছেন, আগামী ৪-৫ মাস ধরে বাছাই করা ক্রিকেটারদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো হবে। এরপরই ২০১৯-র বিশ্বকাপে কারা খেলবেন, তার একটা চিত্র পাওয়া যাবে।
তিনি বলেছেন, এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তাই দলের কয়েকজন প্রধান খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, যাতে তরুণদের দেখে নেওয়া যায়।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজে লোকেশ রাহুল চার নম্বরে ব্যাট করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক। কারণ, শিখর ধবন ও রোহিত শর্মা ওপেনে দারুন ফর্মে রয়েছেন। তাই রাহুলকে চার নম্বরে খেলিয়ে দেখে নেওয়া হবে। দলে এ ধরনের রদবদল বিশ্বকাপের দল চূড়ান্ত করার জন্য আগামী কিছু সময় চলবে বলেও জানিয়েছেন প্রসাদ।
তিনি আরও বলেছেন, আগামী বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে দলের জন্য ২২ থেকে ২৪-২৫ জন প্লেয়ারের কথা ভাবা হয়েছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলিয়ে তাঁদের অগ্রগতি দেখে নেওয়া হবে।
একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ওই তালিকায় আরও ছাঁটাই করা হবে। এরপর যাঁরা থাকবেন বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আট থেকে এক বছর পর্যন্ত তাঁদের ওপর নজর রাখা হবে।
প্রসাদ আরও জানিয়েছেন, ক্রিকেটারদের তাঁদের ফিটনেসের মান আরও উন্নত করতে হবে। ফিটনেস না থাকলে কাউকেউ দলের জন্য বিবেচনা করা হবে না।

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সিরিজ থেকে বাদ পড়লেও যুবরাজ সিংহর সামনে এখনও সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়নি। বর্তমানে ৩৫-র ওপরে বয়স এমন প্লেয়ারদের মধ্যে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, সুরেশ রায়নার পাশাপাশি যুবিও বিবেচনায় রয়েছেন। বোর্ডের নির্দিষ্ট ফিটনেস ও দক্ষতা প্রমাণের রাস্তা এখনও রয়েছে।