বেঙ্গালুরু: প্রথম ২ ম্য়াচ হারলেও পরের ২ ম্য়াচে জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি (T20) সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে আগামীকাল মুখোমুখি হতে চলেছে ২ দল। কে জিতবে, কে কাকে টেক্কা দেবে, সেই প্রশ্ন পরে। তার আগেই ম্যাচের তাল কাটতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ম্যাচের দিনও প্রায় ৭০% বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


রঞ্জির সেমিফাইনালে মুম্বই বনাম উত্তরপ্রদেশ ম্যাচ আয়োজিত হয়েছিল বেঙ্গালুরুর জাস্ট ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। সেই ম্যাচও বৃষ্টির জন্য বিঘ্নিত হয়েছে। শুক্রবার প্রায় বেশিরভাগ সময়ই বৃষ্টি হয়েছে। শনিবারও ভীষণ হাওয়ার সঙ্গে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। এই পরস্থিতিতে রবিবারের ম্য়াচে বল কতটা সময় মাঠে গড়াবে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। এমনিতে বেঙ্গালুরুর পিচ ফ্ল্যাট। এছাড়া বাউন্ডারিও ছোট। করোনা পরবর্তী সময়ে এখনও পর্যন্ত সাদা বলের ক্রিকেটে কোনও আন্তর্জাতিক ম্য়াচ আয়োজন করেনি চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। 


সিরিজে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করেছে টিম ইন্ডিয়া

উল্লেখ্য, মরণ-বাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮২ রানে হারিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ১৬৯/৬ তাড়া করতে নেমে ১৬.৫ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে অল আউট হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-২ করে দিল ভারত। সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হবে শেষ ম্যাচে। মাত্র ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি। ২৭ বলে ৫৫ রান করেন দীনেশ কার্তিক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফসেঞ্চুরি তাঁর। ডিকে-কে সঙ্গত করলেন হার্দিক পাণ্ড্যও। ৩১ বলে ৪৬ রান করলেন আইপিএল জয়ী হার্দিক। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৩৩ বলে ৬৫ রান যোগ করে ম্যাচের মোড় ঘোরালেন দুজনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৬৯/৬। জবাবে মাত্র ৮৭ রানে অল আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ উইকেট নেন আবেশ খান।